ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিগত তিন নির্বাচনের কেউই এবার দায়িত্বে থাকবেন না

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১২:৫৪ এএম

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো দায়িত্বে রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যথাসম্ভব তাদের দায়িত্ব দেওয়া থেকে সরকার বিরত থাকবে।’ গতকাল রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলায় যেসব সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের বিচার সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ায় হবে।’ এ ছাড়া সম্প্রতি আলোচিত উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি দেশে থাকি, আমার সন্তানরা দেশে থাকে, আমার সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই।’

নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মাঠপর্যায়ের সব প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইনবহির্ভূত কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ করা হচ্ছে।’

এ ছাড়া দেশের সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল আগের তুলনায় অনেক কমেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন শান্ত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আছে। শারদীয় দুর্গাপূজা বিঘিœত করার জন্য কিছু ফ্যাসিস্ট ও তাদের প্ররোচনায় থাকা বুদ্ধিজীবীরা ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছিল, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি জানান, প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২৮ ব্যাচে তিন দিন মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ দেশজুড়ে ১৩০ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি ব্যাচের ১৩ হাজার সদস্য প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হবে।