আগামী ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এরই মধ্যে হংকংয়ের আবহাওয়া ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন জামাল, তপুরা। ঢাকায় আশাভঙ্গের পর হামজা-শামিতরা এখন হংকংয়ের মাঠে নিজেদের প্রস্তুত করছেন। জাতীয় স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ মিনিটে গোল হজম করে বাংলাদেশ। আগামী মঙ্গলবার হংকংয়ের কাই তাক স্পোর্টস পার্ক স্টেডিয়ামে আবার মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের তারকা ডিফেন্ডার তপু বর্মণ বলেছেন, ‘ঢাকার ম্যাচের ফল আমাদের সবার জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল।
বিশেষ করে হাজার হাজার দর্শকের জন্য। আসলে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হয়। আমরা সেটাই করছি।’ হংকংয়ে বাংলাদেশকে খেলতে হবে প্রতিপক্ষের দর্শকদের সামনে। এই ম্যাচের টিকিট দেড়-দুই ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে উল্লেখ করে তপু বর্মণ বলেছেন, ‘জেনেছি, তাদের টিকিট দেড়-দুই ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। এটা আসলে আমাদের জন্য ভালো ব্যাপার বলে আমি মনে করি। দর্শকের মাঝে আমাদের বাঙালি ভাইয়েরাও থাকবেন। সেটাও জেনেছি। অবশ্যই আমাদের দলের জন্য বাড়তি ভালো ব্যাপার।’
গত ম্যাচে হার প্রসঙ্গে তপু বর্মণ বলেছেন, ‘কষ্টের ব্যাপার তো অবশ্যই অনেক আছে। একটা ভুলে আমরা হেরেছি। তবে এখন আমাদের এই ম্যাচে ফোকাস রাখা উচিত বলে মনে করি। হারের পর আরেকটা ম্যাচ জিতলেই সবকিছু বদলে যাবে। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় আছে, এখানে প্রথম দিনে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটা ভালো রেজাল্ট করতে চাই।’ ইনজুরির কারণে ঢাকার ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলতে হয়েছে অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারকে। এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ উল্লেখ করে তপু বলেছেন, ‘আমি এখন শতভাগ সুস্থ। ম্যাচ খেলার মতো আমার সম্ভাবনা ও সামর্থ্য দুটোই হয়েছে।
আমরা যে ম্যাচটা হেরেছি, সেটা অপ্রত্যাশিত। আমাদের আরেকটু মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল। শেষ ৩০ সেকেন্ডে আমরা শেষ গোলটা হজম করি। সেখানে আমাদের মনোযোগী এবং একটু সেন্সিবল হওয়া উচিত ছিল। কোন সময় ম্যাচটা স্লো করতে হবেÑ এসব ব্যাপার খুবই ভাইটাল ছিল ওই পরিস্থিতিতে। সেখান থেকে আমাদের বের হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনো আমাদের সুযোগ আছে। এই ম্যাচে আমরা সম্মিলিতভাবে ভালো পারফর্ম করতে চাই এবং জিততে চাই। জয় ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। আমরা সেভাবেই মাঠে নামব, সেভাবেই ম্যাচটা শেষ করতে চাই।’