মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের জারি করা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চললেও তা মানা হচ্ছে না রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর বিস্তৃত এলাকায়। জেলার পাংশা থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত পদ্মা নদীর ৫৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিদিনই প্রকাশ্যে চলছে মা ইলিশ শিকার।
সরেজমিনে পদ্মাপাড়ের ধাওয়াপাড়া ফেরিঘাট, গোয়ালন্দের অন্তারমোড়, চর করনেশন, কাওয়াল জানি, কলাবাগান ও আশপাশের গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, নদীর তীরে বসেছে অস্থায়ী মাছের হাট। এসব হাটে জেলেরা সরাসরি নদী থেকে ধরা ইলিশ এনে বিক্রি করছেন।
এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় এবং ছোট ইলিশ বা জাটকা ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকাসহ দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা স্বল্প মূল্যে ইলিশ কিনতে ভিড় করছেন।
নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের বিষয়ে জেলেদের বক্তব্য, সরকারি সহায়তা না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে নদীতে নামছেন। জেলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রাজবাড়ীতে ১৪ হাজার জেলে থাকলেও সরকার চাল দিয়েছে মাত্র ৪ হাজার জনকে। তাও মাত্র ২৫ কেজি করে। আমরা অনেকেই তা পাইনি।’
অন্যদিকে নদীপথে চলাচলকারী দৌলতদিয়ার ফেরি ও লঞ্চেও দেখা যাচ্ছে প্রকাশ্যে ডালিতে করে ইলিশ বিক্রি।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব উল হক জানান, ‘জনবলসংকটের কারণে সব এলাকায় নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সার্বক্ষণিক নদীতে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাব আর জেলেদের দুর্দশার সুযোগে মা ইলিশ শিকারে নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে ইলিশের প্রজনন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।