জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে হত্যা করে তার মরদেহ কড্ডা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তার মরদেহ উদ্ধারে ডুবুরি নামানো হয়েছিল, তবে কিছুই পাওয়া যায়নি। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকেই দুই দিন ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হচ্ছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় হৃদয় হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম। টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হৃদয় লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে অটোরিকশা চালাতেন।
গতকাল ট্রাইব্যুনালে হৃদয় হত্যার একটি ভিডিও দেখানো হয়। সেখানে দেখা যায়, পুলিশের কয়েকজন সদস্য হৃদয়কে আটক করেছেন। রাস্তার ওপর পুলিশের সদস্যরা হৃদয়কে ঘিরে আছেন। এর মধ্যে পুলিশের এক সদস্য হৃদয়কে গুলি করেন। হৃদয় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পুলিশের সদস্যরা পরে চলে যান। পরে পুলিশের দু-তিনজন সদস্য এসে হৃদয়কে টেনে নিয়ে যান।
ভিডিও দেখানো শেষে ট্রাইব্যুনালে তাজুল ইসলাম বলেন, এই গুলি যে পুলিশ সদস্য করেছেন, তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। মরদেহ গাড়িতে তুলে নিয়ে রাতে ব্রিজের ওপর থেকে কড্ডা নদীর একদম মাঝখানে ফেলে দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত স্বীকারোক্তি আছে। তার মরদেহ উদ্ধারের জন্য তারা ডুবুরি নামিয়েছিলেন। যেহেতু এক বছর পরে এবং সেখানে স্রোত আছে, কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার ওই কনস্টেবলের নাম মো. আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।