প্রায় ৮৭ লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় শতকোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দুই পরিচালক ও সাবেক দুই এমডিসহ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন। ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছিলেন।
প্রথম মামলার চার্জশিটের আসামিরা হলেনÑ সিকদার রিয়েল এস্টেটের মালিক রিক হক সিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল।
তদন্তে নাম উঠে আসা আসামিরা হলেনÑ ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট উজ্জ্বল কুমার পাল, এ এন এম আহসান হাবিব, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সুবীর চন্দ্র কর, সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিকুল ইসলাম খান, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও মো. শামসুল আলম। অনুমোদিত চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার বা ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা (২০১৭ সাল হিসাবে) আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটেডের অতিরিক্ত ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার বা ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে। পাচার করা অর্থ হস্তান্তর/স্থানান্তর, রূপান্তর গোপনকরণের মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করেছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলার চার্জশিটে আসামিরা হলেনÑ ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রন হক সিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ ওয়াদুদ ও সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল।
তদন্তে নাম উঠে আসা আসামিরা হলেনÑ ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট উজ্জ্বল কুমার পাল, এ এন এম আহসান হাবিব, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সুবীর চন্দ্র কর, সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিকুল ইসলাম খান, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও মো. শামসুল আলম।
এই মামলায় মোট ৫০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ মার্কিন ডলার ৫০ কোটি টাকা বিদেশে ব্যয় করে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে এবং পাচার করা অর্থ হস্তান্তর/স্থানান্তর, রূপান্তর ও গোপন করার চেষ্টা করেছে আসামিরা। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দ-বিধির ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন