বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় পচন ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে মৌলিক জায়গাগুলোতে মেরামতের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে এত খারাপ অবস্থা যে, কয়েকজনকে দিয়ে একটা শিক্ষা কমিশন বানিয়ে দিলাম আর শিক্ষা ভালো হয়ে যাবে, আমি তা মনে করি না। শিক্ষায় এত পচন ধরেছে, আস্তে আস্তে কিছু কিছু মৌলিক জায়গায় ঠিকঠাক না করলে কয়েকজনকে উপরে বসিয়ে দিয়ে; আপনারা শিক্ষা সম্বন্ধে কী ভাবেন, এটা (কমিশন) দিয়ে কোনো লাভ হবে না। একদম নিচে থেকে কিছু মৌলিক ভাঙা জিনিসকে আগে ঠিক করতে হবে।’ গতকাল বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘ইউথ পারসপেকটিভস অন স্যোশাল প্রগ্রেস : গ্রাসরুটস, নেটওয়ার্কস অ্যান্ড লিডারশিপ ভয়েসেস’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
একসময় শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘৫৫টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকহীন ছিল, আমরা যখন দায়িত্ব শুরু করেছি। শিক্ষা কমিশন এসে কী এগুলো ঠিক করতে পারত? এগুলোকে তো তিন মাসের মধ্যে সচল করতে হয়েছে। প্রতিদিনের যে আন্দোলনগুলোর জন্যও তো কিছু প্রতিবিধান করতে হচ্ছে। কয়েকজন খুব বিজ্ঞ মানুষকে বসিয়ে বলব ‘শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো করে দিন’, এতে তাদের বিব্রত করাই হয়। তিনটা শিক্ষা কমিশন বাংলাদেশেই হয়েছে, সেগুলোর রিপোর্টও আমার কাছে আছে। সেগুলোই আমরা পালন করি না কেন? সেখানে তো অনেক ভালো জিনিস আছে। নতুন শিক্ষা কমিশন কি আরও ভালো কিছু দিতে পারবে? যুগোপযোগী করতে পারবে সেটা ঠিক।’ বর্তমানে তরুণদের মাঝে একধরনের মানসিক অস্থিরতা’ দেখেন উপদেষ্টা। জুলাই আন্দোলনে নৃশংস দৃশ্য ও স্বজনদের মৃত্যুকে এর কারণ বলে মনে করেন তিনি।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে অভ্যুত্থানের ফলে একটা নৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে থেকে কিছু কিছু যারা রাজনীতিতে চলে যাবে। আমরা আশা করব, সেই নতুন প্রজন্ম থেকে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন