বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ১২:৫৪ এএম

সিআরআইয়ের দুর্নীতি

জয়, পুতুল ও ববিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ১২:৫৪ এএম

জয়, পুতুল ও ববিসহ ৮ জনের  বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ আটজনের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র আরেকটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) বিভিন্ন ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির’ অভিযোগে মামলাটি করার কথা বলছে দুদক।

গতকাল বুধবার সংস্থার মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করবেন।

দুদক বলছে, সিআরআই’র মাধ্যমে ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতি, অর্থ আত্মসাৎ, কর ফাঁকি ও সন্দেহজনক লেনদেন’ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সিআরআই ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ভাইস চেয়ারম্যান এবং বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেনÑ সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ও সাবেক এনবিআর সদস্য রওশন আরা আক্তার এবং সিআরআই এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাব্বির বিন শামস।

দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি জয়, পুতুল, ববিও আসামি হয়েছেন। একাধিক মামলায় নাম আছে নসরুল হামিদেরও।

অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, রাষ্ট্রীয় ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিআরআইকে করমুক্ত সুবিধা’ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত না হয়েও ‘বিশেষ কর সুবিধা’ নিয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর ‘চাপ প্রয়োগ করে অবৈধভাবে’ ২৩টি কোম্পানি থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি অনুদান আদায় করা হয়েছে। ২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত সিআরআই প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় দেখালেও হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ’ হয়েছে। এই সময়ে সিআরআইর ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ২৪৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জমা এবং ১৯১ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৪৩৯ কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৪২ টাকা কর পরিশোধ না করার অভিযোগও আনা হচ্ছে।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর জয়, পুতুল ও ববির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পাশাপাশি সিআরআই ও এর ইয়ং বাংলা প্রজেক্টের ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!