শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৭:১১ এএম

আইজিপির পদত্যাগ দাবিতে এবার পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের চেষ্টা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৭:১১ এএম

আইজিপির পদত্যাগ দাবিতে  এবার পুলিশ সদর দপ্তর  ঘেরাওয়ের চেষ্টা

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের পদত্যাগ দাবিতে এবার পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে শহিদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল পার হয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের দিকে যাওয়ার সময় তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পরে রাস্তা অবরোধ করে আইজিপির অপসারণ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।

রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, তারা আধাঘণ্টার মতো ছিল। বুঝিয়ে বলার পর চলে যায়। কোনো হাঙ্গামা হয়নি। আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর যানবাহান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার একই দাবিতে শাহবাগ মোড়ে দুই ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাদের বুঝিয়ে বলার পর তারা রাস্তা ছেড়ে দেন।

শহিদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিক আহমেদ ডলার গণমাধ্যমকে বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি পূরণে সবার সঙ্গে আলোচনা করে তারা বড় কর্মসূচি দেবেন। তারা বর্তমান আইজিপি পদত্যাগ দাবি করছেন। তিনি পদত্যাগ না করলে তাকে অপসারণ করা হোক। এর আগে বিডিআর হত্যাকা-ের ঘটনায় গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বর্তমান আইজিপির নাম আসার পর থেকে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণ, গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিতের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে শহিদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ। এরই মধ্যে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।

বিএনপি নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন পিন্টু পিলখানা হত্যাকা-ের পর গ্রেপ্তার হন এবং বন্দি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর তার শুভাকাক্সক্ষীরা শহিদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ গঠন করে। সংগঠনটির অভিযোগ, বিডিআর হত্যাকা-ের পর নাসির উদ্দিন পিন্টুকে ‘মিথ্যা মামলায়’ জড়িয়ে ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ কৌশলে পিন্টুকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে রক্তাক্ত বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই সময় পুলিশের বিশেষ শাখার নেতৃত্বে ছিলেন বাহারুল আলম। তিনি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা।

হত্যাকা-ের দেড় দশক পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে এলে ওই ঘটনা পুনঃ তদন্তের দাবি ওঠে। পরে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। সেই কমিশন গত ৩০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে ‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার’ জন্য নাম এসেছে বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলমের।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!