বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, একটি হত্যা মামলায় যেখানে ২০ জন আসামি হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সুতরাং এখানে তদন্তে বেশি সময় লাগে। তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন কোনো অবস্থায় শাস্তির আওতায় না আসে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেকে স্বার্থের জন্য নিরীহ ব্যক্তিকে মামলার আসামি করেছে। সেই সব বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পুলিশের বিরোধ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে রাজনীতিক দলের কোনো বিভেদ নেই। আমাদের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। আপনাদের (রাজনৈতিক দলের) কাজ জনগণের কাছে গিয়ে ভোট আদায় করা। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনুরোধ করব, যাতে তারা বিরোধ তৈরি না করে।
গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সব অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারিনি। অস্ত্রগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। নির্বাচনের আগে আরও অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যাবে। নির্বাচন যাতে ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য আমরা চেষ্টা করব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, ইসরাত জাহান প্রমুখ।
এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১-এর কার্যালয় পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত থেকে গত এক মাসে ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশিকে পুশইন করানো হচ্ছেÑ এ তথ্য সঠিক। তবে পুশইনের সংখ্যা কমছে।
তিনি বলেন, আমাদের নাগরিকদের অবশ্যই নিতে হবে, তা ১০ কিংবা ২০ বছর পর হলেও। তবে রোহিঙ্গাদের যেভাবে পুশইন করা হচ্ছে, তা আমরা গ্রহণ করছি না, তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ভারত সরকার নিয়ম মানছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সরকার নিয়ম মেনে নাগরিক পাঠানোর পরিবর্তে অনেক সময় নদীর পাড়ে ও জঙ্গলে ফেলে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, র্যাব-১১-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক (সিও) এডি. ডিআইজি মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, উপঅধিনায়ক মেজর অনাবিল ইমাম, অপস অফিস সিনিয়র এএসপি গোলাম মোর্শেদ প্রমুখ।