ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের  যৌথ সামরিক মহড়া সমাপ্ত

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১২:১৫ এএম

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ছয় দিনব্যাপী ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ শীর্ষক যৌথ অনুশীলন মহড়া শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় গত বৃহস্পতিবার বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে মহড়া সমাপ্ত হয়েছে। মহড়াটি ১৪ সেপ্টেম্বর বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হকে শুরু হয়েছিল।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালনা) এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান সমাপনী বক্তব্য দেন এবং দুই দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই মহড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে শুরু হয়েছিল।

আইএসপিআর আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা ও আপৎকালীন সংকট নিরসনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানসমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’-এ মূলত আপৎকালীন এবং প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়।

যৌথ অনুশীলন মহড়ায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুইটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের ৯২ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন। এই যৌথ অনুশীলনের মাধ্যমে দুই দেশের বিমানবাহিনী শুধু পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ই করবে না, বরং আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার এবং আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বিমানবাহিনীর চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা প্রদান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মানবিক ও স্থিতিশীল ভিত্তি প্রদান করবে বলেও আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।