ঢাকা রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বললেন জামায়াত আমির

দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় মেধা, সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ১১:৩০ পিএম

দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নৈতিকতাহীন ও অকার্যকর এবং এতে মেধা, সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ স্বাধীন রাষ্ট্রে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে চায়। কিন্তু অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আমরা সেই কাক্সিক্ষত পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি। জনগণের সহযোগিতা ও আল্লাহর সাহায্যে আমরা এ পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে চাই।’ গতকাল শনিবার ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এফডিইবি) উদ্যোগে কাকরাইলের আইডিইবি ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত (এফডিইবি) এর বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে আয়নাঘরসহ গোপন নির্যাতনকেন্দ্রের সংস্কৃতি প্রবর্তন করা হয়েছিল, যা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো ছিল না। অসংখ্য শহিদের ত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা, তারা স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে, তাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা থাকবে, যুবকেরা কাজ পাবে। 

শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে আমিরে জামায়াত বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নৈতিকতাহীন ও অকার্যকর এবং এতে মেধা, সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে। যাদের হাতে শিক্ষা পরিকল্পনা করার দায়িত্ব, তাদের সন্তানেরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়ে না। এ কারণেই তারা জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে না।’

তিনি প্রকৌশল ও কৃষি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বুয়েট ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা জাতির গর্ব। কৃষিবিদেরা মৎস্য, পশুপালন ও খাদ্য উৎপাদনে যে অবদান রেখেছেন, তাতে দেশ সরাসরি উপকৃত হচ্ছে। পর্যাপ্ত গবেষণা তহবিল পেলে এই খাত আরও এগিয়ে যাবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যারা সবচেয়ে মেধাবী, তারা প্রকৌশল খাতে কাজ করলেও জাতি কেন এর সুফল পাচ্ছে না?

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় অঙ্গীকার হলো দুর্নীতির জোয়ার কেটে দেওয়া। ইনসাফের ভিত্তিতে যার যা পাওনা, তা তার হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঘুষ ও অবৈধ সম্পদের অবসান ঘটাতে হবে। এতে জাতির অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। তিনি সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিডিয়া জাতির দর্পণ, সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক। কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলতে হবে, সেটি আমাদের বিরুদ্ধে হলেও। রাজনীতিবিদদের দুটি আর সাংবাদিকদের তিনটি কলিজা লাগে। সত্য ও সাহসী সাংবাদিকতাই জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পারে।