ঢাকা রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বললেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ 

প্রশাসনের ব্যর্থতায় নষ্ট হচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের সৌন্দর্য

কক্সবাজার অফিস 
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ১১:৪৩ পিএম

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে অব্যবস্থাপনা ও দখলদারির জন্য স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তার অভিযোগ, প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত ক্রমশ সৌন্দর্য হারাচ্ছে।

গতকাল শনিবার কক্সবাজারে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন বিষয় দেখভালের জন্য বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি থাকলেও তারা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। সম্প্রতি সৈকত দখল নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, এর পেছনেও প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের নামে-বেনামে কার্ড দিয়ে সৈকত দখলের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।’

টুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকর্তা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অসংখ্য কার্ডের কারণে সৈকতে যত্রতত্র দোকান বসানো হচ্ছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এতে সৈকতের মূল আকর্ষণ অবিরাম বালুচর হারিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমুদ্রসৈকতের সঙ্গে তুলনা টেনে আপেল মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশের কোনো বিচে কি এভাবে সৌন্দর্য নষ্ট হতে দেখেছেন? কক্সবাজারের পরিচিতি বালুর সৈকত হিসেবে। অনেকে আসেন বালুতে গড়াগড়ি করতে। কিন্তু সৈকতে গেলে চোখে পড়ে শুধু হকার আর হকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটকেরা সৈকতে বসে বিশ্রাম নিতে গেলেও শান্তি পান না। কেউ চিপস বিক্রি করছেন, কেউ সিদ্ধ ডিম, কেউ আবার আনারকলি হাতে হাজির হন। এমনকি অনুমতি ছাড়াই অনেকে পর্যটকদের মাথায় হাত দিয়ে ম্যাসাজ করার প্রস্তাব দেন। এসব কারণে পর্যটকেরা বিরক্ত হচ্ছেন, যা কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের জন্য বড় হুমকি।’

এই অব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আপেল মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। তখন টুরিস্ট পুলিশকে সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবে বর্তমান অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন সৈকতের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।