মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মেহেদী হাসান খাজা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১১:৩৭ পিএম

ঢাকা কলেজ ও ঢাবির ছাত্রদল

আখের রসের দোকান বসানো নিয়ে সংঘর্ষ

মেহেদী হাসান খাজা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১১:৩৭ পিএম

আখের রসের দোকান  বসানো নিয়ে সংঘর্ষ

* ঢাবির শিক্ষার্থীদের পেটাল ঢাকা কলেজ ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা

ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী শাহিন মৃধা ঢাবির শাহনেওয়াজ হলের মূল ফটকসংলগ্ন রাস্তায় একটি দোকান উঠিয়ে আখের রস নামক ফুটকোর্ট দোকান (ভ্রাম্যমাণ) বসান। এরপর রাতে শাহনেওয়াজ হলের একদল শিক্ষার্থী (ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা) প্রতিবাদ জানান এবং একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হয়। বিষয়টি শাহিন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিল্লাদ হোসেনসহ কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকে জানান। এরপর গত রোববার সন্ধ্যার পর প্রথমে ঢাবি ও ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের মধ্যে প্রথম দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদলের এক নেতার নেতৃত্বে ফের গভীর রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। 

জানা যায়, এ ঘটনার আগে রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাসে শাহিনসহ কয়েকজন প্রচার করেন, ঢাবির শাহনেওয়াজ হলের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মারধর করে একজনকে আটক রেখেছে। এরপর রাত ১টার দিকে ঢাকা কলেজের ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থী ৬০-৭০ জন শাহনেওয়াজ হলের দিকে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ঢাবির বেশ কয়েকজনকে ব্যাপকভাবে মারধর করে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ঢাকা কলেজ ছাত্রবাসের এক ছাত্রদল নেতা ও কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাবির শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় খাচ্ছে আমাদের এলাকায়ও তারা খায়, তবে তারা ঢাকা কলেজকে দাম দেয় না। আমরা বাধ্য হয়ে তাদের প্রতিরোধ করেছি।’

জানা গেছে, এ ঘটনায় বিশেষ করে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা কলেজ শাখার মুখপাত্র আশরাফুল হাফিজের মাথায় ইট লেগে গুরুতর জখম হন। পরে প্রচ- রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে নিউমার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপক্ষকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়েও দেয় তারা। এ ছাড়া পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত আকার ধারণ করে তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েমসহ ছাত্রনেতারা এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যও যোগ দেন।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার আগে শিক্ষার্থীদের সংঘবদ্ধ করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদের নেতৃত্বেই শিক্ষার্থীরা শাহনেওয়াজ হলের দিকে যায়।

সূত্রমতে, সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় উভয় পক্ষকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা, দেশি অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া দিতে দেখা যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে তারা প্রথমে হিমশিম খায়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন টেলিভিশনের সাংবাদিক ফরহাদ আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের এসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ঢাবির শাহনেওয়াজ হলের সামনে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে বেশ কিছু সময় ধরে কয়েক দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরপর থেকেই পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়।

এসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আরও জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যেসব অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন সেটাও নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ঢাকা কলেজ ও ঢাবির ছাত্রদল নেতাদের বসানো দোকানকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে এসব সংকট তৈরি হয়। পরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয় এবং দেশি অস্ত্র ব্যবহারকারীদের খোঁজা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে রাতে স্যার এএফ রহমান হলের জিএস হাবিবুল্লাহ হাবিব বলেছেন, ‘আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাহনেওয়াজ হল) শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট ঠান্ডা ছিল। আমি ও ডাকসু নেতারা যাওয়ার পর তাদের শান্ত হতে বললে তারা থেমে যায় এবং হলের ভেতরে চলে যায়। তবে আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা কাচের তৈরি বস্তু দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকে। এ সময় আমাদের কয়েকজন আহত হয় এবং কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন।’ 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!