ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

ভিকারুননিসা ছাত্রীকে অপহরণ ধর্ষণে একজনের যাবজ্জীবন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ১২:২১ এএম

আট বছর আগে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামি আনিছ আহম্মেদ নীল পলাতক। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন বলে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন। বিচারক রায়ে ধর্ষণের দায়ে নীলকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং এক লাখ টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন। আর অপহরণের দায়ে আলাদা ধারায় আসামিকে আরও ১৪ বছরের কারাদ-, সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদ-ের টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে নীলের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন নীল। পরিবার নিষেধ করলেও নীল তাতে কর্ণপাত করেননি। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে মেয়েটি বাসা থেকে কোচিং করতে আজিমপুরের উদ্দেশে বের হয়। কোচিং শেষে সে আর বাসায় ফেরেনি। পরে তাকে খুঁজতে বাবা আজিমপুর গিয়ে কোচিং শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, মেয়েটি সেদিন কোচিংয়ে যায়নি।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে কয়েকজন তাকে জানান, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে কামরাঙ্গীরচর থানাধীন বড়গ্রাম চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় থেকে মেয়েটিকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় আনিছ আহম্মেদ নীলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা ৮ নভেম্বর কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ নীলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই মো. মামুন হোসেন। সেখানে আসামির বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।