ঢাকা সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিল শুনানি আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ১২:৪৮ এএম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি ষষ্ঠ দিনের মতো শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে শুনানি শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন। আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে শুনানি করেছেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চে বসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাসংক্রান্ত বহুল আলোচিত আপিলের শুনানি পর্যবেক্ষণ করলেন বাংলাদেশ সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। আপিল শুনানি শুরুর আগে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সেইসঙ্গে দুদেশের বিচার বিভাগের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় আপিল বিভাগে নেপালের উচ্চ আদালতের বিচারপতি, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, নেপালের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীসহ আপিল বিভাগের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২১, ২২, ২৩, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর শুনানি হয়। এ ৫ দিনে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ জনের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূইয়া, ইন্টারভেনার হিসেবে আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহরিয়ার শুনানি সম্পন্ন করেছেন। 

আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত থাকায় সেটি কবে থেকে কার্যকর হবে তা সর্বোচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ দেবেন।

গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেন সর্বোচ্চ আদালত। দেওয়া হয় আপিলের অনুমতি। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ জন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আপিল করেন। এর আগে ২০১১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে রায় দেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের আপিল বিভাগ।