ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

ইউনেসকোর সভাপতি নির্বাচিত হওয়া বাংলাদেশের বড় অর্জন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ১২:৫৫ এএম

জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো) ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়াকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশের অনেক বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।  গতকাল মঙ্গলবার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষা  উপদেষ্টা বলেন, জাপানের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ইউনেসকোর মতো জাতিসংঘের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের অর্জন।

তিনি জানান, সম্মেলনে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ডেলিগেশন-প্রধান, যাদের অনেকেই মন্ত্রী পর্যায়ের, তারা বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলোও বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

অধ্যাপক রফিকুল আবরার বলেন, এই নেতৃত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে সফট পাওয়ার এবং বাংলাদেশের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ভূমিকা রেখেছে। সব কিছু মিলিয়ে সেখানে বাংলাদেশের একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেসকোর নির্বাহী বোর্ডের ২২২তম অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এতে জাপানের বিপক্ষে ৩০-২৭ ভোটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। এ পদে দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতেরও প্রার্থী ছিল। কিন্তু পরে দেশ দুটি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।

এই জয়কে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের কূটনৈতিক সাফল্য ও সাংস্কৃতিক মর্যাদার বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউনেসকোর সাধারণ সম্মেলন বিশ্বের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণের বড় মঞ্চ। তাই এটির সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া যেকোনো দেশের জন্য মর্যাদাপূর্ণ অর্জন।

উজবেকিস্তানের সমারকান্দ শহরের সিল্ক রোড কনফারেন্স সেন্টারে গত ৩০ অক্টোবর ইউনেসকোর ৪৩তম সম্মেলন শুরু হয়। চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা। সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে গত ৭ নভেম্বর দেশে ফেরেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

ইউনেসকোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ইউনেসকোর সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।