ঢাকা শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০১:৫২ এএম

বাউল আবুল সরকারের মুক্তি, মাজার-দরগাহ ভাঙচুর এবং বাউলশিল্পীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ডাকা মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে খুলনায়। শিববাড়ী মোড়ে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হামলাকারীরা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সংগঠনের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার বিকেলে। অন্যদিকে এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংবাদ সম্মেলন করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতারা।

গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা জানান, দেশব্যাপী ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা খুলনায় মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন। একই সময়ে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ তুলে ‘ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে আরেক পক্ষ একই স্থানে বিক্ষোভের ঘোষণা দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বুধবারের হামলার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ছাত্র ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজীব খান অভিযোগ করে বলেন, ‘বুধবার বেলা ৩টার দিকে আমরা শিববাড়ীতে অবস্থান নিই। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও বিকেল ৫টায় পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চলে। ছাত্র-জনতার ব্যানারে যারা এসেছিল, তারা আপ বাংলাদেশ ও শিবিরের কর্মী।’

তিনি আরও বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের জন্য গেলে সেখানে আমাদের বাধা প্রদান করে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। পরে শহিদ হাদিস পার্কে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী খুলনা মহানগরের ইয়াসির হামিদ, এসভিপির মোহাম্মদ অনিক, মাহিন, অরিত্র রয় প্রমুখ।

হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রজোট মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিলে অপর পক্ষও সেখানে অবস্থান নেয়। বিকেল ৫টার দিকে ছাত্রজোটের কর্মীরা ব্যানার হাতে সড়কে নামতেই কিল-ঘুষি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে আগুন ধরানো হয়।

অন্যদিকে আপ বাংলাদেশের খুলনা মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়জুল্লাহ শাকিল দাবি করেন, ‘ছাত্রজোটের সদস্যরাই আগে আমাদের একজন কর্মীকে মারধর করে। পরে আমরা এগিয়ে যাই।’

খুলনা মহানগর পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, বাম ঘরানার ছাত্রদের মানববন্ধনে ‘ছাত্র ও সাধারণ জনতা’ মিলে হামলা করেছিল। কয়েকজন আহত হলেও কেউ গুরুতর নয়। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যানার পোড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উত্তেজনা এড়াতে আগেই পুলিশ মোতায়েন ছিল এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।