জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও জনমনে হতাশার প্রেক্ষাপটে এ বিপ্লব গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনগণের অংশগ্রহণের নতুন প্রত্যাশা তৈরি করেছে। এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য শুধু আরেকটি নির্বাচন নয়, বরং গণতন্ত্রকে সুসংহত করার এক বিরল সুযোগ। তবে সেই সুযোগ বাস্তবে রূপ নিতে হলে একটি বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এআই-ভিত্তিক প্রপাগান্ডা ও ভুয়া তথ্যের স্রোত।
এরই মধ্যে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সর্বশেষ সভা সমাপ্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে আগামী ৫ আগস্ট বিকাল ৫টায় গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গত ৩১ জুলাইয়ের সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মোটামুটি ৭০-৮০ শতাংশ বিষয়ে সকল দলের মধ্যে ঐক্যমত গড়ে উঠেছে। দলগুলোর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে বোঝা গেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সবাই মোটামুটি একমত। এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে ঐক্যমতের এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এআই-ভিত্তিক প্রপাগান্ডা : বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট: বিশ্ব রাজনীতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় বিপুল প্রভাব ফেলছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়ার সম্প্রতি নির্বাচনে এআই-নির্ভর প্রপাগান্ডার বাস্তব উদাহরণ দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডিপফেক অডিও-ভিডিও বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিতে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে এআই-প্রস্তুত ভয়েস রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এআই-জেনারেটেড ডিপফেক ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে প্রার্থী বা রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য বিকৃত করে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায়ও একই প্রবণতা দেখা গেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে অসংখ্য ফেক ভিডিও ও পোস্টে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে সন্দেহ ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এ ধরনের প্রচারণা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আস্থার সংকট তৈরি করে।
বাংলাদেশও এই ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয়: ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এআই-নির্ভর কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারে। তা ছাড়া যারা নির্বাচন চায় না বা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ভেঙে দিতে চায়, তারাও এ সুযোগ নিতে পারে। এ ছাড়াও নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কিংবা কিছু গোপন তৎপরতার আশঙ্কাও থেকে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ৩৯টি নির্বাচনী বিভ্রান্তি ও ভুল তথ্য সামাজিক মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। এর ৯৭ শতাংশ ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়েছে, বাকি অংশ ইউটিউব, টিকটক ও এক্স (টুইটার) থেকে। এই বিভ্রান্তির মধ্যে ১৬টি সম্পূর্ণ ভুয়া মন্তব্য এবং ১৭টি বিকৃত বক্তব্য ছিল। ২০২৪ সালে এআই-ভিত্তিক ফববঢ়ভধশব বা ংুহঃযবঃরপ ভিডিও সম্প্রতি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । উরংসরংষধন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন ২০২৫-এ ৭০টি এআই দিয়ে বানানো ভিডিও দেখে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ভিউ ও ১ মিলিয়ন ইন্টার্যাকশন হয়েছে; যা রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থকদের দ্বারা ছড়ানো হয়েছিল, এর মধ্যে গত এক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিএনপি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে তারপর এনসিপি এবং জামায়াত। রিউমার স্ক্যানারের অন্য আরেকটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৪- ২০২৫ সালে ২,৯১৯টি ভধষংব পষধরসং শনাক্ত এবং ২০২৫ সালের প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে আরও ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে , যার মধ্যে ১,১২৫ সম্পূর্ণ ভুয়া খবর ও বাকিটা বিভ্রান্তিমূলক । উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- বিএনপি ও এনসিপি নেতৃবৃন্দ ও তাদের দল নিয়ে সরংরহভড়ৎসধঃরড়হ-এর সবচেয়ে বেশি হওয়ার নজির পাওয়া যাচ্ছে। জুন ২০২৫-এ ৩১১টি অভিযোগ, যার ৪০% রাজনৈতিক বিষয়ভিত্তিক ভিডিও, মোট ৫টি ডিপফেক ভিডিও ও ৪১টি এআই দিয়ে বানানো কনটেন্ট।
কেন এটি বড় হুমকি?
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক, রিজওয়ান-উল-আলম একটি গণমাধ্যমে লিখেছেন- ‘বারবার মিথ্যা খবর ছড়ানোর ফলে মানুষের মন অসাড় হয়ে যায়, তারা সত্য মিথ্যা যাচাই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং ভুল তথ্যকেই সঠিক বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে’। এআই-ভিত্তিক প্রপাগান্ডা এত বড় হুমকি হওয়ার কারণ হলো এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও দ্রুত বিস্তারের ক্ষমতা। ডিপফেক প্রযুক্তির সাহায্যে যেকোনো ব্যক্তির কণ্ঠ বা মুখম-ল ব্যবহার করে এমন ভিডিও বানানো সম্ভব, যা সাধারণ ভোটারের পক্ষে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা প্রায় অসম্ভব। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বিপুলসংখ্যক ভোটার বিভ্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটির বেশি। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মে তথ্য বিনিময়ের গতি এত দ্রুত যে, একবার কোনো বিভ্রান্তিমূলক কনটেন্ট ভাইরাল হয়ে গেলে তা থামানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা : যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারে। ১. রিয়েল-টাইম ফ্যাক্ট-চেকিং : যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাগুলো রিয়েল-টাইমে মিথ্যা তথ্য শনাক্ত করে জনগণকে সতর্ক করেছিল। বাংলাদেশেও এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।
২. কঠোর শাস্তির বিধান : ভারতে ডিপফেক ভিডিও ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশেও শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রয়োজন।
৩. জনগণের শিক্ষা : ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ভুয়া তথ্য শনাক্তের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের তরুণ ভোটারদের জন্য এমন প্রশিক্ষণ কার্যকর হতে পারে।
ভোটারদের তথ্য-স্বাক্ষরতা অত্যন্ত জরুরি:
ডিপফেক ও সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্যাম থেকে বাঁচতে ভোটারদের তথ্য-স্বাক্ষরতা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে শেয়ার করা, সরকারি বা নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়া কোনো খবরকে সত্য ধরে না নেওয়া, সন্দেহজনক লিংক বা অফারের প্রতি সতর্ক থাকা উচিত। ভুয়া প্রোফাইল বা বিভ্রান্তিকর ভিডিও শনাক্ত করতে অনলাইন ফ্যাক্ট-চেকিং টুল ব্যবহার করা যায়। ভোটারদের সচেতন করা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন যাতে তারা বিভ্রান্তি এড়িয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
রাজনৈতিক দলের করণীয় : রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন থেকেই প্রযুক্তিনির্ভর প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রতিটি দলের উচিত সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভুয়া খবর শনাক্তের জন্য শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা। এআই ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা, বিভ্রান্তি কমানোর জন্য তথ্যভিত্তিক ও ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করতে হবে এবং নেতিবাচক প্রচারণা এড়িয়ে চলা উচিত। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে হবে, যাতে গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের করণীয় : সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল চালু, সমন্বয় বাড়ানো হচ্ছে : নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যেই একটি ২৪ ঘণ্টার সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল চালু করেছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, তারা- ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক ও এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিভ্রান্তিমূলক কনটেন্ট শনাক্ত হলে দ্রুত রিপোর্ট ও অপসারণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে বারবার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো ট্র্যাক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ইসি আরও জানিয়েছে যে, টঘউচ-এর সহায়তায় ‘ইঅখখঙঞ’ প্রকল্প চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন বিভ্রান্তি শনাক্ত ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।
এ ছাড়াও মুহূর্তে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া অত্যাবশ্যক বলে মনে করছি, যেমন-
১. সাইবার নিরাপত্তা জোরদার : ভুয়া তথ্য প্রচারকারীদের শনাক্ত ও দমন করতে আইনগত ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজন হলে বিশেষ সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে।
২. সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বয় : ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে ভুয়া কনটেন্ট দ্রুত সরানো নিশ্চিত করতে হবে। ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, সরাসরি প্ল্যাটফর্মের সহযোগিতা ছাড়া ভুয়া তথ্য ঠেকানো কঠিন।
৩. স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া : রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা সংলাপ চালিয়ে আস্থা তৈরির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে গুজবের প্রভাব অনেকটাই কমে যাবে।
৪. জনসচেতনতামূলক প্রচারণা : ভোটারদের ভুয়া তথ্য শনাক্ত করতে শেখানো এবং যাচাইকৃত তথ্যসূত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করতে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালাতে হবে।
জনগণের করণীয় : ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের উচিত হবে কোনো তথ্য যাচাই ছাড়া শেয়ার না করা এবং নিরপেক্ষ তথ্যসূত্রের উপর আস্থা রাখা। নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা ও গুজবে প্রভাবিত না হওয়া। পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশীদেরও সচেতন করা, যাতে ভুয়া তথ্যের বিস্তার সীমিত থাকে। ডিপফেক বা সন্দেহজনক কনটেন্ট দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো।
২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে ডিপফেক ও সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্যাম রোধে সচেতনতা, তথ্য-স্বাক্ষরতা এবং প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। ভোটারদের যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য বিশ্বাস না করা, ফ্যাক্ট-চেকিং টুল ব্যবহার এবং সন্দেহজনক কন্টেন্ট রিপোর্ট করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে যাতে ভুয়া তথ্যের বিস্তার রোধ হয়। এআই-ভিত্তিক প্রপাগান্ডা ও ভুয়া তথ্য প্রচারের ঝুঁকি এখনই মোকাবিলা করা না গেলে পরিস্থিতি দ্রুত জটিল হয়ে উঠতে পারে। রাজনৈতিক দল, সরকার, নির্বাচন কমিশন ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগই পারে এই ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে। সঠিক তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্তই নিরাপদ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
Rumour Scanner Bangladesh রিপোর্ট, Dismislab I The Daily Star এআই content রিপোর্ট, দৈনিক যুগান্তর, প্রথম আলো, Financial Times AP বিশ্লেষণ ফববঢ়ভধশব মিথ্যার প্রভাব নিয়ে, computational propaganda I ও সোশ্যাল বট ব্যবহার সম্পর্কিত গবেষণা
মুনাওয়ার মইনুল
গণমাধ্যম উদ্যোক্তা, সভাপতি
মানবাধিকার ও জলবায়ু-উন্নয়ন সংগঠন