রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০২:৩৯ এএম

সড়কের বাঁক যখন মারণফাঁদ

উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০২:৩৯ এএম

সড়কের বাঁক যখন মারণফাঁদ

পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র সীমান্ত সড়ক রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া-চন্দ্রঘোনা সড়কের বেশকয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। এসব বাঁক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে পদে পদে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে জনগণ ও চালকদের। বিশেষ করে রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়কের অন্তত ১০ থেকে ১২টি বাঁক যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।  এদিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের দুপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে ভেঙে গেছে। বাঁক ও ভাঙা স্থানের কারণে চলাচল ঝুঁঁকির মধ্যে পড়েছে। ভাঙা বাঁকগুলোর বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ না নিয়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

জানা যায়, রাজস্থলী সীমান্ত সড়কে ঝিকঝাক ও সাইসল পর্যটনসমৃদ্ধ এলাকা হিসাবে পরিচিত। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত পর্যটকের আগমন ঘটে। সেনাবাহিনী, প্রশাসনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে বাস, মাইক্রো, সিএনজি, মাহিন্দ্রা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে ব্যবসার উদ্দেশে এ উপজেলায় প্রবেশ করে। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাসহ পর্যাটকরা যানবাহনে চড়ে প্রতিদিন রাজস্থলীর সীমান্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে আসে। এসব যানবাহন অতিরিক্ত গতি নিয়ে আসায় বাঁকগুলোতে প্রায় ঘটে দুর্ঘটনা। আবার সীমান্ত সড়ক নির্মাণকাজের জন্য পাথর, সিমেন্ট, খাদ্যগুদামে চাল, ব্যবসায়ীদের আমদানি করা মালামাল নিয়ে আসা যানবাহনগুলো ঝুঁকিতে পড়ে। 
এদিকে ওই সড়কে বেশ কয়েকটি বাঁক থাকার কারণে নিরাপদে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় না বলে জানান চালকরা। বিশেষ করে উপজেলা বাঙ্গালহালিয়া থেকে সড়কে বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। নতুন কোনো চালক হলে এসব বাঁক পেরিয়ে গাড়ি চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সড়কটির মুক্তিবাহিনী, তিন নং, চার নাম্বার পাথরবন পাড়া, লংগদু আসমানি পাহাড়, ওগাড়ীপাড়া, গামাড়ী বাগান, গাইন্দ্যা উচ্চ বিদ্যালয় মোড়, ঝামতলা এলাকায়ও বেশ কয়েকটি বাঁক রয়েছে। সবগুলো বাঁকই বেশ বিপজ্জনক। এর মধ্যে সড়কের প্রায় ১০-১২টি বাঁক চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এসব বাঁককে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য চালকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

রাজস্থলী সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী বাসচালক জসিম উদ্দিনসহ একাধিক চালক বলেন, রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়কটি আঁকাবাঁকা হলেও দেখতে আকর্ষণীয়। সড়কের পাশে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের দুপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে ভেঙে গেছে। এছাড়া সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রেয়েছে। এসব বাঁক ও ভাঙা স্থানের কারণে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

রাজস্থলী উপজেলার বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হাসেম মেম্বার ও স্থানীয় ব্যাবসায়ী জহিরুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রাজস্থলী-চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো অনেক সময় চালকেরা বুঝতে পারেন না। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে মারাতœক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইসলামপুর ওয়ার্ডের মেম্বার এমদাদুল হক মিলন জানান, রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে প্রায় সময় চালকরা দুর্ঘটনার শিকার হন। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা ও মাহিন্দ্রাচালকেরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। অনেক সময় নতুন আসা চালকদের সড়কের বাঁকগুলোতে স্পিড কন্ট্রোল করতে না পেরে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এ কারণে চালকদের সচেতন করতে রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়কের বাঁকগুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। 

বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আদোমং মারমা জানান, রাজস্থলী সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে দ্রুত সময়ে কিছু সতর্কতামূলক চিহ্ন স্থাপন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে যে বাঁকগুলো বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেখানে প্রয়োজনে গ্লাসের বোর্ড বসানো দরকার। তাহলে বিপরীত দিক থেকে আসা যেকোনো যানবাহনের চালক সতর্ক হতে পারবে। সড়কের বাঁকে রাতের বেলায় যানবাহন চালানোর সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ কারণে সড়কের মাঝে ডিজিটাল ডিভাইডার চিহ্নগুলো স্থাপন করা হলে চালকেরা সচেতন হবেন। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আঁকাবাঁকা সড়কের দুইপাশে ঝোঁপঝোড়গুলো পরিস্কার এবং ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে লাল পতাকা স্থাপন করে চিহ্নিত করে রাখা হবে। যাতে সড়কে বড় বড় যানবাহনগুলোর চালকদের নজরে আসে। 

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ভবিষ্যতে রাজস্থলী-চন্দ্রঘোনা সড়কটি চার লেনে উত্তীর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তখন এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোকে নিরাপদ করা হবে। বর্তমানে রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া-চন্দ্রঘোনা সড়কে ঝুঁঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেখানে চালকদের সচেতনতার জন্য ঝুঁকিচিহ্ন বসানো হবে। সেইসঙ্গে এ সড়কে চালকদের যতটা সম্ভব সাবধানতার সঙ্গে যানবাহন পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!