ঢাকা শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

নিশ্চুপ বৃষ্টির নবযাত্রা...

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম

ভীষণ মিষ্টি আর সুরেলা কণ্ঠের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নিশ্চুপ বৃষ্টি। বাংলাদেশের এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন শিল্পীর নিজের জনপ্রিয় মৌলিক গান রয়েছে। তারমধ্যে নিশ্চুপ বৃষ্টিও অন্যতম একজন। তার কণ্ঠের অন্যতম জনপ্রিয় গানগুলো হচ্ছে ইমরানের সঙ্গে দ্বৈত গান ‘যদি হাতটা ধরো’, ‘বলো সাথিয়া’, ‘আজ ভালোবাসো না’, আরিফিন রুমীর সঙ্গে ‘প্রেমেরই হরফে’সহ আরও কয়েকটি গান।

জামাল হোসেনের লেখা নিশ্চুপ বৃষ্টির নিজের নামেই অর্থাৎ ‘বৃষ্টি’ শিরোনামেই একটি গান আছে। নারায়ণগঞ্জের মেয়ে বৃষ্টির গানে পেশাগতভাবে যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে ‘বাংলাদেশি আইডল’-এ সপ্তম স্থান অর্জনের মধ্যদিয়ে। দেশের আনাচে-কানাচে স্টেজ শোতে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন বৃষ্টি। দেশের বাইরে ইতালি, জাপান, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, সৌদি আরব, কাতারেও স্টেজ শো করে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন।

তবে বৃষ্টির আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনের গল্পটা সহজ ছিল না। ২০০১ সালে তার বাবা বোমা হামলায় মারা যান। বাবা নজরুল ইসলাম বাচ্চুর কাছেই তার গানে হাতেখড়ি। তার মা হামিদা ইসলাম ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীতের শিক্ষক। তাই বাবা মারা যাবার পর মায়ের কারণেই তার গানের ভুবনে এগিয়ে যাওয়া। মাঝে বেশ কিছুদিন দুবাই ছিলেন বৃষ্টি।

কিন্তু তার মা ২০২৪ সালে স্ট্রোক করায় এখন নারায়ণগঞ্জে মায়ের সঙ্গেই আছেন। আর যাচ্ছেন না দুবাই তিনি। তাই এখন গানের পাশাপাশি বৃষ্টি নিজেকে আরও একটু ব্যস্ত রাখতে অনলাইন ক্লথিং স্টোর ‘বি এলিগেন্স’-এর যাত্রা শুরু করলেন। গানের পাশাপাশি এই ‘বি এলিগেন্স’ নিয়েই তিনি আগামীর পথে এগিয়ে যাবেন। বৃষ্টি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ফ্যাশন নিয়ে ভাবনা ছিল। আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসতাম আমি। অনেককেই পেইন্টিং গিফট করেছি। আবার ড্রেস আঁকতেও ভীষণ ভালোবাসতাম।

যখন নাইন/টেন-এ পড়ি তখন থেকেই নিজেই ড্রেস ডিজাইন করে তৈরি করে তা পড়তাম। সবাই খুব উৎসাহ দিত। একসময় আমার আঁকা ডিজাইনও বিক্রি করতাম। সেই ডিজাইন করার নেশা থেকেই কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত নিলাম অনলাইনে নিজের ডিজাইনে জামা বিক্রির। সত্যি বলতে কী পরিস্থিতিই আমাকে বাধ্য করেছে এমনটা করার। আমার অনলাইনে ৭৫ ভাগই আমার নিজের ডিজাইন করা। পাশাপাশি কিছু ট্রেন্ডি পোশাক থাকছে। শুরু থেকেই আমি বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। বি-এলিগেন্স নিয়ে এখন আমার অনেক স্বপ্ন। আমার স্বামী জাহিদুল ইসলামকে এ জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ বৃষ্টি প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ‘হৃদয় জুড়ে’ সিনেমায়।