শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

সেতু নয়, নৌকাই একমাত্র ভরসা

ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

সেতু নয়, নৌকাই একমাত্র ভরসা

একটি সেতু বদলে দিতে পারে গোটা অঞ্চলের চেহারা। উন্নয়ন ঘটাতে পারে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা খাতে। ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি সেতু স্থানীয় ছাগলনাইয়া উপজেলার আলোকদিয়া ও মিরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নের মানুষের এমনই আশার প্রতীক ছিল। কিন্তু নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার সাড়ে চার বছর পার হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ আর হতাশায় ভুগছে এলাকাবাসী।


জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ফেনী নদীর ওপর মিরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নের ধুম গ্রামে ২৫২ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করছে। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হক ট্রেডার্স’। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সেতুর উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করেন মিরসরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। প্রকল্প অনুযায়ী ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও ২০২৫ সালে এসেও কাজ শেষ হয়নি।


সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর মূল অবকাঠামোর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হলেও সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়কের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় এ কাজ ঝুলে রয়েছে। ফলে সেতুটি চালু হতে আরও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে।


বর্তমানে স্থানীয়রা একটি ছোট ডিঙি নৌকায় নদী পারাপার হচ্ছেন। এজন্য জনপ্রতি গুনতে হচ্ছে ১০ টাকা। শুষ্ক মৌসুমে নদী পারাপার কিছুটা সহজ হলেও বর্ষাকালে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চরমভাবে। নদীর পানি বাড়লে অনেক ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়, যা সময় ও অর্থÑ দুই-ই নষ্ট করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা চেমনা বেগম বলেন, ‘শুরুতে মাত্র ২ টাকা দিয়ে নৌকায় পারাপার হতাম, এখন লাগে ১০ টাকা। এত বছর ধরে সেতুর কাজ চলছে, তবু শেষ হয়নি। আসা-যাওয়া এখন অনেক কষ্টের। সেতুটা শেষ হলে আমাদের জন্য নিরাপদ হতো।’


আরেক বাসিন্দা জানে আলম বলেন, ‘আমার বাড়ি বড় দারোগাহাটে, কিন্তু মেয়ে থাকে ছাগলনাইয়ার আলোকদিয়ায়। তাই প্রায়ই এই নদী পারাপার হতে হয়। বৃষ্টির দিনে নৌকা পাওয়া যায় না আবার সন্ধ্যার পরেও নৌকা চলে না। সেতুটা হয়ে গেলে শান্তিরহাট বাজার আরও উন্নত হবে, বাড়বে কেনাবেচা।’
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ দ্রুত শেষ হলে  ফেনীর ছাগলনাইয়া ও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগটা একটু সহজ হতো। সেই সঙ্গে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা খাতে উন্নয়ন ঘটাতে পারে। কিন্তু আমাদের সেই আশা পূরণ না হওয়ায় আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি।’


জানতে চাইলে হক ট্রেডার্সের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, ‘নদীতে পাইলিংয়ের সময় নিচে কিছু অবাঞ্ছিত পদার্থ পড়েছিল, যার ফলে বোরিং সম্ভব হয়নি। অফিসিয়ালি সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগেছে। বর্তমানে মূল সেতুর প্রায় ৫ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে, যা আগামী মাসেই শেষ হয়ে যাবে। তবে সংযোগ সড়কের কাজ জমি অধিগ্রহণের ওপর নির্ভর করছে।’


সেতুর কাজ বিলম্বিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত সেতুর দুপাশের জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কাজ আটকে আছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হলে আগামী এক বছরেও কাজ শেষ হবে না।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!