রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে সরকারি অনুমোদন অনুযায়ী চারটি ভবন নিলামে বিক্রির অনুমতি থাকলেও সেখানে পাঁচটি ভবন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, নিলামের তালিকায় না থাকা একটি টিনসেড ঘর গোপনে ভেঙে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্সের দুটি টিনডে ঘর এবং দুটি একতলা পাকা ভবন নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। তবে নিলামের বাইরে থাকা আরও একটি টিনসেড ঘর গোপনে ভেঙে নেওয়া হয়।
ঘরটি উপজেলা বন বিভাগের পুরোনো কার্যালয় ও কর্মচারী বিনোদন ক্লাবের মাঝ বরাবর, মুন স্টার স্কুলের পাশে অবস্থিত। প্রায় ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের ওই ঘরটিতে ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনির দেয়াল ছিল। দুই কক্ষবিশিষ্ট টিনসেড ঘরটি কখনো নিলামে ওঠেনি, অথচ তা গোপনে ভাঙা হয়েছে।
নিলাম হওয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে ছিল এক সময়ের উপজেলা সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং সোনালী ব্যাংকের উপজেলা কমপ্লেক্স শাখা। অন্য একতলা ভবনে ছিল পানি সরবরাহের পাম্প মেশিন, যেটিকে পরিত্যক্ত দেখিয়ে ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হলেও মেশিনটির উল্লেখ ছিল না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিলামের বাইরে থাকা ঘরটি ভাঙার কাজে শ্রমিকরা ব্যস্ত। শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী মিন্টু তাদের ঘর ভাঙার কাজে লাগিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ‘পুরাতন কিছু ঘর নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামে অংশ নেওয়া ঠিকাদারের লোকজন ভুলে একটি বাড়তি ঘর ভেঙে ফেলেছে। এটি এখন নিলামের আওতায় আনা হবে।’ তবে স্থানীয়রা বলছেন, এটি কোনো ভুল নয়, পরিকল্পিতভাবে সরকারি সম্পদ গোপনে বিক্রির চেষ্টা চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন সচেতন মহল।
আপনার মতামত লিখুন :