গত ৩ আগস্ট ২০২৫, রোববার রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ‘গৃহশিক্ষক মোবারক এখন কোটি টাকার মালিক!’ শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মনগড়া, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এই সংবাদে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
আমি কখনো গৃহশিক্ষক ছিলাম না, কিংবা কোথাও লজিং থেকেও পড়াশোনা করিনি। এ ধরনের বক্তব্য সরাসরি আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত মর্যাদাকে আঘাত করেছে। আমি একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে সরকারি নিয়ম-নীতির অনুসরণে বৈধভাবে ঠিকাদারি পেশায় যুক্ত আছি।
আমি কোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নয়, বরং নিজ যোগ্যতা ও পরিশ্রমে এ পর্যায়ে এসেছি। সংবাদে উল্লেখিত ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রী লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরুর আস্থাভাজন’ হওয়া সংক্রান্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমি বিএনপি ঘরানার একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে নরসিংদীতে পরিচিত এবং নীতিগতভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছি।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব টেন্ডার বর্তমানে ই-জিপি পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। এ ব্যবস্থায় কোনো ঠিকাদার ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে কাজ নেওয়ার সুযোগ পান না। তাই আমার বিরুদ্ধে ‘প্রভাব বিস্তার’সংক্রান্ত অভিযোগও অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর।
আমি যে বাড়িতে বসবাস করছি, তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও সম্পূর্ণ বৈধ আয়ের টাকায় নির্মিত। এতে কোনো অনিয়মের প্রশ্নই ওঠে না।
মোবারক হোসেন
সাধারণ সম্পাদক
নরসিংদী প্রেসক্লাব
আপনার মতামত লিখুন :