ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ

ওষুধ সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৭:৫৬ এএম

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে মৌসুমি জ্বর। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এর পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ওষুধ সংকট।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় দুই হাজার রোগী। অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। অনেকেই বেডের অভাবে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীরা জানান, জ্বরের সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, কাশি ও কাঁপুনি দেখা দিচ্ছে। একজন আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ এমনকি জ্ঞান হারাচ্ছেন বা মুমূর্ষু হয়ে পড়ছেন।

চিকিৎসকদের মতে, সাত থেকে দশ দিনের চিকিৎসায় জ্বর নিয়ন্ত্রণে এলেও শরীরের দুর্বলতা ও ব্যথা কাটতে প্রায় এক মাস সময় লাগতে পারে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকবুল হাসান বলেন, ‘জুলাইয়ের শুরু থেকে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী দেখছি। আবহাওয়া পরিবর্তন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, ঠান্ডা বা বৃষ্টির কারণে এ ধরনের জ্বর হতে পারে। জ্বর দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে আসা উচিত।’
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ ও বিশ্রাম নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।’