পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদের ওপর অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা দুইটি ব্রিজ এখন জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর একটি বড়াল বেইলি সেতু, অন্যটি ফুট ব্রিজ। ব্রিজের অপ্রশস্ততার কারণে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি স্থানে মানুষ বাধাহীনভাবে যাতায়াত করতে পারছে না। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
জানা গেছে, উপজেলার বেইলি ব্রিজটি ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের প্রাণকেন্দ্র শরৎনগর বাজার এবং ভাঙ্গুড়া বাজারের বাসস্ট্যান্ডকে সংযোগ করেছে। ফুট ব্রিজ কলেজ পাড়া মোড় থেকে ভাঙ্গুড়া বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত। বেইলি ব্রিজটি সরু হওয়ায় একটি ট্রাক উঠলে পাশ দিয়ে মোটরসাইকেলও যেতে পারে না। ফলে প্রায়ই ব্রিজের দুই পাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। একইভাবে ফুট ব্রিজের ওপর দিয়ে একসঙ্গে দুইটি ভ্যানও পারাপার হতে পারছে না। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেক সময় ব্রিজের ওপর যানজট থাকায় অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে সময়মতো পৌঁছাতে পারে না। অন্যদিকে বেইলি ব্রিজ ও ফুট ব্রিজ পার হওয়া নিয়ে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটতে হয় পৌর ট্রাফিককে।
ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য কবি এস এম নাহিদ হাসান বলেন, বেইলি ব্রিজের অবকাঠামো উৎপাটন করে সেখানে প্রশস্ত ঢালাই ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু অজানা কারণে তা উপেক্ষিত হয়ে আসছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে ঝঝুঁকিমুক্ত করতে দ্রুত সময়ে সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। ফুট ব্রিজটি জেলা পরিষদের, তবে সংস্কার করলে চলবে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, উপজেলার বেইলি ব্রিজটি সরু এবং ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মনসুর উল আজিজ বলেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বড়াল নদের ওপর অবস্থিত বেইলি ব্রিজটি সংস্কারের প্রস্তাব ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন