পটুয়াখালীর দুমকিতে সরকারি কমিউনিটি সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে অযতœ-অবহেলায় পড়ে থেকে ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অর্ধশতাব্দী আগে নির্মিত ভবনটি এখন লতা-পাতা ও ঝোপ-ঝাড়ে আচ্ছাদিত, চারপাশে জমে আছে ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পাশে মোল্লাবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে কমিউনিটি সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন। কোথাও কোথায় ভবনের দেয়াল ভেঙে পড়ছে, আবার কোথায় দেয়াল ঘেঁষে বেড়ে উঠেছে গাছপালা ও লতা জাতীয় উদ্ভিত। ভবনের চারপাশে জমে আছে ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনের পূর্ব ও উত্তর পাশের কিছু জমি আশপাশের বাসিন্দারা দখল করে নিয়েছেন। স্থানীয় মতিউর রহমান মোল্লা জানান, ভবনটি প্রথমে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে পরে রেজিস্ট্রি অফিস এবং সর্বশেষ পশু হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
খালেক মোল্লা নামের আরেকজন বলেন, তৎকালীন কেবিনেট সচিব এম কেরামত আলীর উদ্যোগে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য জমির প্রয়োজন হয়। তখন স্থানীয় হাজী আবদুল মন্নান মোল্লা ও ইউনুস মোল্লা প্রায় ১২ শতক জমি সরকারি কাজে দলিল করে দেন।
জমিদাতা হাজী আবদুল মন্নান মোল্লা বলেন, ‘আমরা চাই এই ভবন ও জমির সঠিক ব্যবহার হোক। উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এখানে ফায়ার সার্ভিস অফিস স্থাপন করা যেতে পারে।’
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য হারুন মোল্লা বলেন, ভবনটি অনেক দিন ধরে পরিত্যক্ত। যদি সংস্কার করে নতুন অফিস চালু করা যায়, তাহলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী মৃধা জানান, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন