ঢাকা বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

৩ মাস ধরে বন্ধ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন

মাহবুব সৈয়দ, পলাশ (নরসিংদী)
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:৫৬ এএম

*** গ্যাস সংকট
*** জাতীয় গ্রিডে বড় ঘাটতি
*** সাতটি ইউনিটের সব ক’টি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ
*** বিকল্প উপায়ে গ্যাস সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন

গ্যাস সংকটের কারণে তিন মাস ধরে বন্ধ দেশের বৃহত্তম নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে এক হাজার ৬১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সাতটি ইউনিটের মধ্যে সব ক’টি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে জাতীয় গ্রিডে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংকট চলছে। এ কারণে গত ৯ জুন ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৫ নম্বর ইউনিট, ১৩ জুন ৩৬০ মেগাওয়াটের ৪ নম্বর ইউনিট এবং ১৪ জুন ৩৬০ মেগাওয়াটের ৭ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। সরকার সারকারখানায় গ্যাস দেওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। বিকল্প উপায়ে গ্যাস সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়েছে।

ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হক জানান, ৪, ৫ ও ৭ নম্বর ইউনিটে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই। গ্যাস পেলেই উৎপাদন শুরু হবে।

ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের জুন মাসে ২১০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৬ নম্বর ইউনিটে আগুন লেগে টারবাইন পুড়ে যায়। সেই থেকে ইউনিটটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ।

১৯৬৭ সালে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ করে রাশিয়া টেকনোপ্রম এক্সপার্ট। ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এর যাত্রা শুরু। পরে ৫৫ মেগাওয়াটের ২ নম্বর ইউনিট ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে আসে। এ দুটি ইউনিটে বারবার যান্ত্রিক এটি দেখা দেয়। এ কারণে প্রায় আট বছর ধরে দুটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১ ও ২ নম্বর ইউনিট ভেঙে নতুন করে একটি ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।