ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুষ্ঠেয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য মডেল হয়ে থাকবে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তবে ডাকসুর সাথে জাতীয় নির্বাচনকে একেবারে মিলিয়ে না ফেলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ডাকসুতে যারা ভোটার তারা দেশের একেবারে শিক্ষিত সমাজ। আর জাতীয় নির্বাচন হবে মিশ্র ভোটারদের নিয়ে। অনেক বছর পর একটা নির্বাচন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ডাকসুতে একটি ভালো নির্বাচন হবে।
ডাকসু নির্বাচন মডেল কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, যারা এখানে (ডাকসু) ভোট দিচ্ছেন, তারা সবাই শতভাগ শিক্ষিত সমাজের অংশ। জাতীয় নির্বাচনকে এর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। কিন্তু এটি একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে। এখানে যারা প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তারা উচ্চশিক্ষিত। জাতীয় পর্যায়ে কিন্তু পরিস্থিতি একেবারে এ রকম না-ও হতে পারে। তবে এটি অবশ্যই একটি মডেল।
উপদেষ্টা জানান, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এখনো যে অবস্থা আছে, তাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা হবে না। সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশসহ অন্য বাহিনীগুলো ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছে।
সভায় মাদক নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেখা গেছে, মাদক নিয়ে ধরা পড়ার সংখ্যা অনেক বাড়ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, মাদক আসতেছে বেশি, ধরাও পড়তেছে। কিন্তু একেবারে বন্ধ করতে পারিনি। এখন আবার বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন মাদক বের হচ্ছে। এটা দমন করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করে দেবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আরাকান আর্মি বেঁচে আছে মাদক বিক্রির ওপরে। তাদের মূল আয়টাই হলো মাদক। যদিও তারা কৃষিতে কিছুটা কনভার্ট করছে। সেদিকে যদি যায়, তাহলে এই জিনিসটি (মাদক) একটু কমে আসবে। মিয়ানমারে আরাকান আর্মি পুরো সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
সভায় ইলিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের প্রজনন নাকি এবার কম হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো বাড়বে। এটাকে কীভাবে কী করা যায়, ট্রলার যারা চালায় তারা নতুন ধরনের একটা প্রযুক্তি এনেছে, এমনভাবে মাছ আসে যে পোনা-টোনা কিছুই বাদ পড়ে না। এটা কীভাবে বন্ধ করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।