কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। এর মধ্যে হামাসের ৫ সদস্য ও এক কাতারি কর্মকর্তা রয়েছেন। হামাসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন খলিল আল-হাইয়াসহ হামাসের শীর্ষ নেতারা।
হামাসের নিহত ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন—আল-হাইয়ার কার্যালয়ের পরিচালক জিহাদ লাবাদ, আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম আল-হাইয়া, দেহরক্ষী আবদুল্লাহ আবদুল ওয়াহিদ, দেহরক্ষী মুয়ামেন হাসুনা ও দেহরক্ষী আহমেদ আল-মামলুক।
গত বছর তেহরানে ইসমাইল হানিয়া, গাজায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নিহত হওয়ার পর থেকে আল-হাইয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। বর্তমানে তিনি হামাসের নেতৃত্ব পরিষদের পাঁচ প্রধান নেতার একজন।
এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এই হামলাকে ‘অপরাধমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। কাতার এই বেপরোয়া ‘ইসরায়েলি’ আচরণ মেনে নেবে না।
বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পর ‘ইসরায়েলি’ সেনাবাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যৌথ অভিযানে তারা হামাসের ‘জ্যেষ্ঠ নেতৃত্ব’কে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বছরের পর বছর ধরে হামাস নেতৃত্বের এই সদস্যরা সন্ত্রাসী সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা সরাসরি ৭ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ি এবং ‘ইসরায়েল’-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে।’
উল্লেখ্য, সোমবার দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন খলিল আল-হাইয়া।