ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

গাজায় তুর্কি সেনা উপস্থিতি মানবে না ইসরায়েল

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনার আওতায় তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীকে ইসরায়েল মেনে নেবে না।

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজায় একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে, যা চলমান যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দুই বছরের সংঘাত শেষের লক্ষ্যে কাজ করবে। কিন্তু কোন কোন দেশ সৈন্য পাঠাতে চায় বা প্রস্তুত, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বুদাপেস্টে এক সংবাদ সম্মেলনে সার বলেন, ‘যেসব দেশ সশস্ত্র বাহিনী পাঠাতে চায় বা প্রস্তুত, তাদের অন্তত ইসরায়েলের প্রতি ন্যায্য আচরণ করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, তুরস্কের অবস্থান ইসরায়েলের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। গাজা যুদ্ধের সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ইসরায়েলের বিমান ও স্থল অভিযানের তীব্র নিন্দা করেছিলেন।

ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় সরাসরি মার্কিন সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে বহুজাতিক বাহিনীতে অবদান রাখার জন্য ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, কাতার, তুরস্ক এবং আজারবাইজানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ভূমিকা তিনি মানবেন না। রোববার তিনি বলেন, ‘গাজায় কোনো বিদেশি বাহিনীকে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নেবে।’

ইসরায়েল সফরে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, আন্তর্জাতিক বাহিনীতে ‘সেইসব দেশ থাকা উচিত যাদের সঙ্গে ইসরায়েল স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে’।

তিনি তুরস্কের বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।