ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার ঘটনায় মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেপ্তার

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০১:২১ এএম

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সাত বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষককে (নূরানী বিভাগ) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়াস্থ গজারিয়া কলিম উল্লাহ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুকে একাধিকবার বলাৎকারের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ওই মাদ্রাসাশিক্ষকের নাম মো. নোমান আহাম্মেদ (২১), সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মুছাগাড়া গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, ৭ বছর বয়সি ভুক্তভোগী শিশুটি গজারিয়া কলিম উল্লাহ মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা স্থানীয় একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরির সুবাদে স্থানীয় চর বাউশিয়া (পশ্চিম কান্দি) গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তাদের স্থায়ী বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বেড়া ডাকুরী গ্রামে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আজ (গতকাল) সকালে বাচ্চাটা যখন মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছে না তখন তাকে কারণ জিজ্ঞাসা করলে জানায়, গত শনিবার বিকেলে মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থী যখন খেলার মাঠে ছিল, তখন ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে মাদ্রাসার বাথরুমে নিয়ে বলাৎকার করতে চাইলে সে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে আমার বাচ্চাকে ছেড়ে দেয়। এরে আগেও সে দুবার আমার বাচ্চাকে বলাৎকার করেছে, তাই বাচ্চাটা মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছে না। আমি এই নরপিশাচের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পরে থানায় মামলা করেছি।

গজারিয়া কলিম উল্লাহ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস ফারুকী বলেন, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক, আমরা ওই কুলাঙ্গার শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

গজারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী শিশুটিকে জোরপূর্বক একাধিকবার বলাৎকারের কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।