- শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও গণজমায়েত
- টেন্ডার বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, দুর্ব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ
- সমাবেশে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের অংশগ্রহণ
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ ও গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের পরিচালনায় এবং অন্যায় প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
গত শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে উপজেলা সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে গণজমায়েত ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ডা. শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, হাসপাতালের মসজিদ কমিটি ভেঙে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তার দুর্নীতি ও আচরণের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে ১৭ জন মেডিকেল অফিসার এবং নার্সদের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন গুনাহার ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, ইসলামী আন্দোলন বগুড়া জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাজাহান আলী তালুকদার, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি গাজিউর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল বাশার, পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল জলিল, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ইউনুছ আলী মহলদার মানিক ও উপজেলা মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক আলম প্রমুখ।
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি গাজিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ডা. শামসুন্নাহার ৩ লাখ টাকার ব্যাংক ডিপোজিট, কোভিডকালে স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবার পরিকল্পনাকর্মীদের ১৫ লাখ টাকা, মেহগনি গাছ বিক্রির টাকা, আউটসোর্সিং-কর্মীদের বেতন, শ্রান্তি বিনোদনভাতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতের বরাদ্দসহ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি ১৭ জন কর্মচারীর বদলির মাধ্যমে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এর আগে ২৭ আগস্ট একই স্থানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং তার অপসারণের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরুখ খানের কাছে। কিন্তু সময়সীমা পার হলেও এখনো তিনি বহাল আছেন বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ থেকে তিন দিনের মধ্যে ডা. শামসুন্নাহারকে অপসারণ না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতারা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন