বুধবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

দিশাহারা উপকূলের অর্ধলক্ষাধিক জেলে

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

দিশাহারা উপকূলের অর্ধলক্ষাধিক জেলে

**** ইলিশ ধরা ও সংরক্ষণে আসছে নিষেধাজ্ঞা
**** সময় পরিবর্তনের দাবি জেলে ও মৎস্য আড়ৎদারদের

ভোলার মনপুরার মেঘনা নদী ও সাগরে ভরা মৌসুমেও আশানুরূপ ইলিশ মিলছে না। বিগত বছরগুলোতে এ সময় জেলেদের জালে সোনালি ইলিশের ছড়াছড়ি থাকলেও এবার কাক্সিক্ষত ইলিশের দেখা মিলছে না। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার প্রায় পঞ্চাশ হাজার জেলে পরিবার। এরই মধ্যে সরকার মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এতে পুরো উপজেলায় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারে নেমে এসেছে অনিশ্চয়তার ছায়া।

জানা যায়, গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞার সময় শুরু হলেও এবার ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত ইলিশ নিধন ও সংরক্ষণ নিষেধ করেছে সরকার। তবে এই বছরের সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবর্তনের দাবি করছেন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ভরা মৌসুমে নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা পড়েনি। খালি হাতে ফিরছে বেশিরভাগ জেলে ও যখনি নদী ও সাগরে ইলিশ দেখা মিলছে, তখনই সরকার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার  সময় পরিবর্তনের দাবি করেন।

তারা আরও জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশে যখন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, তখন ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে ইলিশ শিকার করেন তাই তারা ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণের দাবি করেন।

জনতা বাজার এলাকার সমুদ্রগামী টলারের জেলে রফিক জানান, গত দুই বছর নিষেধাজ্ঞা পালন করতে গিয়ে তার শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও এই বছরে ইলিশ শিকার করে যা আয় করছেন তা ঋণ পরিশোধ করে হাতে কিছু থাকছে না। এতে তার সংসারে অভাব ছাড়ছে না।

মাস্টারহাট এলাকার জেলে হোসেন মাঝি জানান, কিস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত মেঘনায় জাল ফেলে আসছি। কোনো দিন খালি হাতে ফিরেছি, আবার কোনো দিন দুই একটা ইলিশ নিয়ে ফিরেছি এখন যখন আজকাল কমবেশি ইলিশ পড়তে শুরু করেছে। শুনছি সরকরি মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এতে করে দেনা কীভাবে মিটাব আবার নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবারের খরচ কীভাবে জোগাড় করব তা নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছি।

হাজিরহাট ঘাটের মাঝি আবব্দুর রব, মিজান, সফিজলসহ অনেক জেলেরা অভিযোগ করেন, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি সাহায্য পান না তারা। এতে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

মৎস্য ব্যবসায়ী হাবিব, হেলাল ও লিটন শাহ জানান, গত ২০ বছর ধরে ইলিশের ব্যবসা করে আসছি। যখন জলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়া শুরু করছে তখনই সরকার নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে গত বছর ১২ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই বছর ৩ অক্টোবর কেন দেওয়া হলো তা তারা বুঝতে পারছেন না তাই তারা নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবর্তনের দাবি করছেন।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলী আখতার জানান, নদীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ইলিশের সংরক্ষণ কমে গেছে। তবে মা ইলিশ রক্ষা করা গেলে আগামীতে জলেদের জালে ইলিশের দেখা মিলবে তাই সরকারের নিষেধাজ্ঞা যাতে সঠিকভাবে পালন করা হয় সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া  হবে।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!