কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি আবাসিক মাদ্রাসার (১৩) ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। গত সোমবার এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা রিয়াজুল উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে স্থানীয় একটি আবাসিক মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন এবং সেখানে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ওই শিক্ষক মাদ্রাসার এক আবাসিক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। পরে গত ৫ অক্টোবর রাতে তিনি ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাটি জানা জানি হওয়ার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রায় ১১ ঘণ্টা আটকে রেখে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা চলছিল বলেও খবর পাওয়া গেছে। পরে খবর পেয়ে চিলমারী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
গত সোমবার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে উলিপুর থানায় হস্তান্তর করে। পরে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।
উলিপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মামলা হয়েছে। চিলমারী থানা-পুলিশ আসামিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন