তিন ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

রাজশাহীর চারঘাটে তিন ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক অবৈধ পুকুর খনন, খাল দখল ও কালভার্ট বন্ধ থাকায় জমির পানি বের হচ্ছে না। কিছু কৃষক নালা খনন করে পানি সরানোর চেষ্টা করলেও তা কার্যকর হয়নি। এর ফলে আমন চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চরম বৃষ্টির কারণে প্রায় ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়নি। জমিতে পানি এখনো জমে আছে এবং জলাবদ্ধতা নিরসন করা খুবই কঠিন।
কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ পুকুর খননের কারণে জমির পানি সরে যাচ্ছে না। পুকুর ও খাল নির্মাণের অযোগ্য ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থার ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। 
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে প্রতি বছর আমন চাষ হয়। এতে প্রায় ৩ হাজার ৮০০০ কৃষক জড়িত। মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উপজেলায় বর্তমানে ৩ হাজার ৪০২টি পুকুর রয়েছে, যা ৬ বছর আগে ২হাজার ৭৬২ এবং এক যুগ আগে ১ হাজার ৯৩০টি ছিল। অধিকাংশ পুকুর অবৈধভাবে খনন করা হয়েছে।
পাইটখালী এলাকার কৃষক আবু সাঈদ হিরু বলেন, পূর্বের সরকারে প্রভাবশালীদের অনুপ্রবেশে কৃষকরা জমির ব্যবহার করতে পারছিলেন না। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে লিজ নিয়ে পুকুর খনন করা হলেও কৃষকের স্বার্থকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, বর্তমানে ৬৮০ হেক্টর জমি জলাবদ্ধ হয়ে গেছে এবং প্রায় ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়নি। অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।