দুপচাঁচিয়ার থানা বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ডিম ভাজা বিক্রি করে নিজের এবং পরিবারের জীবনকে আলোকিত করেছেন বক্কর ভান্ডারী। সন্ধ্যা থেকে রাতভর মানুষের আনাগোনা ও বিক্রির ভিড় তাঁর দোকানের স্বাভাবিক দৃশ্য।
২০১৫ সালে হাটে ডাব বিক্রি করে যা আয় হতো, তা দিয়ে পরিবারকে সংসার চালাতে হতো। ২০১৬ সালে তিনি ফুটপাতে ছোট্ট স্টলে ডাব, মৌসুমি ফল এবং ডিম বিক্রি শুরু করেন। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ১০০-১৫০টি ডিম পাইকারি দামে কিনে ডিমসিদ্ধ, ডিমরুটি, ডিমভাজিসহ বিভিন্ন খাবার বিক্রি শুরু করেন। ধীরে ধীরে এই ছোট উদ্যোগ তার পরিবারকে জীবিকার স্বাবলম্বী করার পথ দেখায়।
বক্কর ভান্ডারীর দোকানে রাতের পর রাত ট্রাক ড্রাইভার, শ্রমিক, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষ ভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন ডিমের বিভিন্ন খাবার খেতে। তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই পরিশ্রম করে আজকে বক্কর ভান্ডারী নামে পরিচিত। সৎপথে থেকে সেবা দিয়ে জীবিকা অর্জন করেছি।’
ছেলে মুক্তারও বাবার সঙ্গে দোকান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। মুক্তার জানান, বাবা ও আমি মিলে ব্যবসা চালাই। মাঝে মাঝে বাবা ধর্মীয় স্থানে ভ্রমণ করতে যান। স্থানীয়রা তাই তাকে ‘বক্কর ভান্ডারী’ নামে ডাকেন।
দুপচাঁচিয়া থানার এসআই শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা থানায় থাকলেও সুযোগ পেলে ভান্ডারীর দোকানে ডিমভাজা খাই।’ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরাও সন্ধ্যায় দোকানে এসে ডিম রুটি খেয়ে তৃপ্ত হন।
বক্কর ভান্ডারীর এই গল্প স্বাবলম্বী জীবনের জন্য পরিশ্রম ও ধারাবাহিকতার এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন