ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

বরগুনায় চার ভুয়া চিকিৎসকের দণ্ড 

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৩:৩১ এএম

বরগুনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অতিরিক্ত ডিগ্রি ও ভুয়া পদবি দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগে চার চিকিৎসককে দ-িত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে অর্থদ- ও দুজনকে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌনে নয়টায় বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. শরিয়াত উল্লাহর নেতৃত্বে শের-ই-বাংলা ফার্মেসি সড়কে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সামারি ট্রায়ালে আদালত চারজনের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেন।

দ-প্রাপ্তরা হলেনÑ জহিরুল ইসলাম সৌরভ, সুজন চন্দ্র লস্কর, বিধান রঞ্জন সরকার ও দিলীপ কুমার দাস। ভুল স্বীকার করায় বিধান রঞ্জন সরকার ও দিলীপ কুমার দাসকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২২ ধারায় প্রতি জনকে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দুজন জহিরুল ইসলাম সৌরভকে ১৮ মাস ও সুজন চন্দ্র লস্করকে ৬ মাসের সাজা প্রদান করেন বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. শরিয়াত উল্লাহ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. শরিয়াত উল্লাহ্ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় শহরের ফার্মেসি পট্টি এলাকায় ভুয়া পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদানের দায়ে চারজনকে আটক করা হয়। পরে সামারি ট্রায়ালে তিনজন ভুল স্বীকার করায় তাদের ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুজন অর্থ পরিশোধ করলেও সুজন চন্দ্র লস্কর টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ৬ মাসের কারাদ-ে দ-িত হন। জহিরুল ইসলাম সৌরভ ভুল স্বীকার না করায় তাকে দেড় বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় সামারি ট্রায়াল পরিচালনা করে ভুয়া সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চিকিৎসা বাণিজ্য করার জন্য চারজনকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী দ- প্রদান করা হয়েছে। অভিযানে পুলিশ ও বরগুনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসারও উপস্থিত ছিলেন।’