শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:২৩ এএম

নদীভাঙনে দুভাগে বিভক্ত গ্রাম

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:২৩ এএম

নদীভাঙনে দুভাগে বিভক্ত গ্রাম

  • ১৮ বছরে বিলীন হয়েছে প্রায় ৮শ মিটার সড়ক
  • ঝুঁকি নিয়ে ধসেপড়া জায়গা পেরিয়ে চলাচল
  • গ্রামবাসীর উদ্যোগে নতুন জামে মসজিদ নির্মাণ

নদীভাঙনের কারণে যাতায়াত সড়ক সম্পূর্ণ ধসে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরতলীর পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামটি দুভাগে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল ও মসজিদে নামাজ আদায়ে চরম ভোগান্তিতে থাকা গ্রামবাসী অবশেষে নিজস্ব উদ্যোগে ‘ইব্রাহীমপুর পূর্বপাড়া নতুন জামে মসজিদ’ নির্মাণ করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে নবনির্মিত মসজিদের উদ্বোধন করেন শাইখুল হাদিস আল্লামা নুরুল ইসলাম খান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০০৭ সাল থেকে পূর্ব ইব্রাহীমপুরে ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিলেও ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগ কার্যকর হয়নি। বর্তমানে বস্তা ফেলার কাজ চলমান থাকলেও এরই মধ্যে যাতায়াত সড়ক, পারিবারিক কবরস্থানসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

গ্রামবাসী জানান, প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ জীবন ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ভাঙনের গর্ত ও ধসে পড়া অংশ পেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা জগলুল আহমদ বলেন, ‘প্রশাসনের অনেকে এসে ভাঙনের ভয়াবহতা দেখেছেন, কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ কেউ নেয়নি। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় আমরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছি।’

রাসেল মিয়া জানান, যাতায়াত সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বয়স্ক মুসল্লিদের জন্য মসজিদে যাওয়া-আসা কঠিন হয়ে পড়ে। ‘যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল,’ বলেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল করিম বাবুল জানান, গত ১৮ বছরে প্রায় ৮ শত মিটার সড়ক নদীতে বিলীন হয়েছে। তার অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলা ও অনিয়মের কারণেই আজ গ্রামবাসীকে আলাদা মসজিদ নির্মাণ করতে হয়েছে।

মুসল্লি মুক্তার আলী সওদাগর বলেন, ‘১৮ বছর ধরে বস্তা ফেলা হচ্ছে, তবুও ভাঙন থামছে না। দ্রুত স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে পুরো পূর্ব ইব্রাহীমপুর বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, পূর্ব ইব্রাহীমপুরে ভাঙন রোধে কাজ চলছে। পানি কমলে বস্তা ফেলার কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। যাতায়াত সড়ক ধসে যাওয়ার বিষয়টি তিনি নতুন জেনেছেন দাবি করে বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!