এশিয়া কাপ সামনে রেখে আজ বুধবার থেকে মিরপুরে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। এই প্রস্তুতি ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৫ ক্রিকেটারকে আজ ফিটনেস ক্যাম্পের জন্য রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। ১৫ আগস্ট লিটনের স্কিল প্র্যাকটিস। এরপর ২০ আগস্ট ঢাকা থেকে সিলেটে চলে যাবে তাদের ক্যাম্পটি। এশিয়া কাপের ক্যাম্পের জন্য যে ২৫ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। এর মধ্যে সৌম্য সরকার ও নুুরুল হাসান সোহানকেও দলে রাখা হয়েছে। টি-টোয়েন্টির ভাবনায় থাকা সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও প্রাথমিক দলে জায়গা করে নিয়েছেন। তা ছাড়া নিয়মিত টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের পাশাপাশি মাহিদুল ইসলাম অংকন ও সাইফ হাসানকে দলে রাখা হয়েছে।
ঢাকা ও সিলেটে ক্যাম্পের পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য সিলেটকেই ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি। এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ দলকে প্রস্তুত করে তুলতে আইসিসি ভবিষ্যৎ সফর সূচির বাইরে সিরিজটি আয়োজন করা হচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে এই প্রথম বাংলাদেশে আসছে নেদারল্যান্ডস। এ দেশে আগে একবারই খেলেছে ডাচরা। সে ম্যাচটি ছিল ২০১১ ওয়ানডে বিশ^কাপে। আগামী ২৬ আগস্ট ঢাকায় এসে সিলেটে চলে যাবে ডাচরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট। পরের দুই ম্যাচ ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। সব ম্যাচই শুরু সন্ধ্যা ৬টায়। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের মুখোমুখি পাঁচ লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় চারটি, নেদারল্যান্ডসের একমাত্র জয়টি নিজেদের মাঠে ২০১২ সালে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ১৩ নম্বরে আছে নেদারল্যান্ডস। বিশ^কাপে জায়গা করে নেয় তারা নিয়মিতই। বাংলাদেশ এই সংস্করণে আছে আপাতত ১০ নম্বরে। ডাচদের বিপক্ষে সিরিজ শেষেই এশিয়া কাপ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দেবে লিটন দাসের দল। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হংকংয়ের বিপক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর।
কথা ছিল আগস্টে বাংলাদেশে আসবে ভারত। কিন্তু রাজনৈতিক টানাপোড়েনে এই সফর স্থগিত করেছে তারা। এই সময়টা কাজে লাগাতে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করছে বিসিবি। সিলেটে দুইশ রানের উইকেটেই হবে। এ ব্যাপারে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানান, ‘টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেট দরকার যেখানে রান হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সিলেটই বোধ হয় সেই জায়গা। আমরা চেষ্টা করব সিলেটে খেলাগুলো দিতে। সুতরাং আমাদের পক্ষে আদর্শ প্রস্তুতি বলতে যা বোঝায় আমরা যেন সেটা করতে পারি।’ সিলেটে খেলা দেওয়ার কারণ বড় রান। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একই ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজেও ভালো রান পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাটাররা। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২২ সালেও এই সিলেটে ভালো স্কোর হয়েছিল। সিলেটে আসন্ন সিরিজে রান উর্বরা উইকেট প্রস্তুতের কথা বলেছেন ফাহিম, ‘যদি ৩০০ রানের উইকেট বানাতে পারি, তাহলে আমরা তা-ই চাইব। আমাদের হাতে এখনো বেশ সময় আছে এবং আমরা মোটামুটি ভালো উইকেট না বানাতে পারার কোনো কারণ নেই। অবশ্যই এমন উইকেট না, যেখানে ১৩০-১৪০ রান করতে কষ্ট হবে। আমরা চাইব অন্তত ১৭০-১৮০ রানের উইকেট হোক, সম্ভব হলে ২০০ রানের উইকেটও হোক।’
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজ সূচি
৩০ আগস্ট: প্রথম টি-টোয়েন্টি, সিলেট
১ সেপ্টেম্বর: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, সিলেট
৩ সেপ্টেম্বর: তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, সিলেট
আপনার মতামত লিখুন :