এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে দারুণ জয় দিয়েই মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। গতকাল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২১ ধাপ এগিয়ে থাকা লাওসকে ৩-১ গোলে হারায় বাংলাদেশের মেয়েরা। এই ম্যাচে জোড়া গোল করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। মুনকি আক্তারও গোল পান। আগামীকাল ৮ আগস্ট বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তিমুর-লেস্তে।
লাওসে যাওয়ার আগে বাছাইপর্ব পেরিয়ে জুনিয়র এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে গেছেন বাংলাদেশ নারী দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার ও অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। প্রথম ম্যাচে লাওসের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। লাওসের ভিয়েনতিয়েনের লাও জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই লাওসের মেয়েদের চাপে রাখে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। খেলার প্রথম ১৫ মিনিট স্বাগতিকদের সীমানায় মুহুর্র্মুহু আক্রমণ করেন সাগরিকা, মুনকি আক্তারা, শান্তি মার্ডিরা। কিন্তু গোলের দেখা মিলছিল না। গোলের ভালো সুযোগ নষ্ট করেন তৃষ্ণা রানী। ১৫ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আক্রমণের সূত্রপাত করেন স্বপ্না। তার আড়াআড়ি লো ক্রস ডান দিকে পেয়ে মুনকি আক্তার গোলমুখে ছোট পাসে বাড়ান তৃষ্ণাকে। বলটা ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলের আনুষ্ঠানিকতা সাড়তে পারেননি তৃষ্ণা। তবে ৩৬ মিনিটে ঠিকই বাংলাশেকে এগিয়ে নেন সাগরিকা। শান্তি মার্ডির কর্নার থেকে হেডে গোল আদায় করে নেন অনূর্ধ্ব-২০ সাফজয়ী দলের এই সেরা খেলোয়াড়। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। এরপর সিনহা জাহান শিখাকে গোল-বঞ্চিত করে ক্রসবার। বক্সের অনেক বাইরে থেকে তার ডান পায়ের শট লাওস কিপার থংসামুদকে পরাস্ত করলেও ফিরে আসে পোস্টে লেগে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ৫৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি আক্তার। তৃষ্ণার থ্রু ধরে মার্কারকে বডি ডজে ছিটকে ফেলে লাওস কিপারকে একা পেয়ে যান মুনকি আক্তার। ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং শটে বল জালে জড়ালে উল্লাসে মেতে ওঠেন বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড (২-০)। ৭২ মিনিটে বাংলাদেশের গোল উৎসবে ফের বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। এবার স্বপ্না রানীর মাপা ক্রসে সাগরিকার হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৮৭ মিনিটে লাওসের আনিনা কিও অন্সি বাংলাদেশ কিপার স্বর্ণার সঠিক পজিশনে না থাকার সুযোগে এক গোল পরিশোধ করেন (১-২)। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সাগরিকা দ্বিতীয় গোলের দেখা পান। ডান দিক থেকে বদলি উইঙ্গার উমেলার আড়াআড়ি পাস বাড়ান তৃষ্ণাকে। নিজের শট না নিয়ে তিনি বল পাস দেন ফাঁকায় দাঁড়ানো সাগরিকাকে। গোলমুখ থেকে ডান পায়ে বল গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে জালে জড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন সাগরিকা (৩-১)। এই প্রথম লাওসের মুখোমুখি হয়ে জিতল বাংলাদেশ। এর আগে কখনো লাওস নারী দলের বিপক্ষে খেলেনি লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। রানার্সআপ হলেও সুযোগ থাকবে তাদের। এ জন্য পরবর্তী ম্যাচে বড় জয় তুলে নিতে হবে বাংলাদেশ নারী দলকে।
আপনার মতামত লিখুন :