আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের মিশন। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামছে লাওসের বিপক্ষে। ‘এইচ’ গ্রুপে দুদলের ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়ার কথা। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী দুটি ম্যাচ তিমুরলেস্তে (৮ আগস্ট) ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে (১০ আগস্ট)। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের জন্য বড় পরীক্ষা হবে লাওস ও দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ তিমুরলেস্তে। দক্ষিণ কোরিয়া থাকায় বাংলাদেশের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা বাস্তবিক অর্থে কম। তাই বেশি পয়েন্ট ও গোল ব্যবধানে এগিয়ে বাছাইপর্বে আট গ্রুপের সেরা তিন রানার্সআপের মধ্যে থাকতে পারলে আগামী বছর থাইল্যান্ডে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য নিয়েই লাওস গেছে বাংলাদেশ নারী দলটি।
প্রথম ম্যাচটিকেই পাখির চোখ করছে বাংলাদেশের মেয়েরা। লাওস তাদের ঘরের মাঠে খেলবে। তাদের সিনিয়র নারী দলের ফিফা র্যাঙ্কিং ১০৭। তাতে বোঝাই যায়, বাংলাদেশের সামনে লাওসের মেয়েরা কঠিন প্রতিপক্ষ হয়েই দাঁড়াতে পারে। অবশ্য বাংলাদেশ দলে আছেন বেশ কিছু সিনিয়র দলের খেলোয়াড়। যারা সম্প্রতি সিনিয়র এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সিনিয়র দলের নেতৃত্ব দেওয়া আফঈদা খন্দকার অনূর্ধ্ব-২০ দলেরও অধিনায়ক। তাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে, লাওসের বিপক্ষে ভালো কিছু করেই দেখাতে পারে বাংলাদেশের মেয়েরা। লাওস ম্যাচ সামনে রেখে নারী দলের অধিনায়ক, খেলোয়াড় ও কোচরা লাওস ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার প্রতিই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে জয় পেলে পরবর্তী দুটি ম্যাচ তাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। তাই আপাতত প্রথম ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প ভাবছে না তারা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক আফঈদা বলেছেন, বাছাইপর্বে ভালো খেলে চূড়ান্ত পর্বে উঠতে চায় তারা। বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমি প্রতিটি ম্যাচ একসঙ্গে দেখার পরিবর্তে এক ম্যাচ করে দেখে এগোতে চাই। যদিও এটা শুনতে পুরোনো ক্লিশে লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করা। অনূর্ধ্ব-২০ স্তরে তথ্য পাওয়া খুব কঠিন, কারণ দল ও ফেডারেশনগুলো সব সময় পরিবর্তনের মধ্যে থাকে। নিয়মও রয়েছেÑ অনূর্ধ্ব-১৭ থেকে সরাসরি অনূর্ধ্ব-২০-এ খেলানো যাবে না। এ জন্য শক্তিশালী একটি অনূর্ধ্ব-২০ দল থাকা জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে তিনটি ম্যাচ রয়েছে। প্রথম ম্যাচটি লাওসের বিপক্ষে, এরপর হয়তো তিমুরলেস্তে এবং শেষ ম্যাচটি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। আমার মতে, দক্ষিণ কোরিয়া এই বয়সভিত্তিক গ্রুপে অন্যতম সেরা। তাদের অনূর্ধ্ব-১৭ দল গতবার বিশ^কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। সেই খেলোয়াড়রাই এবার অনূর্ধ্ব-২০ দলে থাকবে। তারা খুব মেধাবী, পরিশ্রমী, ফিট ও সংগঠিত একটি দল। তবে আপাতত আমাদের পুরো মনোযোগ প্রথম ম্যাচ লাওসের বিপক্ষে।’ লাওসের পৌঁছানোর পর গত টানা তিন দিন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সম্প্রতি ঘরের মাঠে যে অনূর্ধ্ব-২০ সাফের শিরোপা জিতেছে তারা, সেটিই বাংলাদেশ দলের জন্য বাছাইপর্বে আত্মবিশ^াসের জ¦ালানি হিসেবে কাজ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :