দুর্জয়ের জায়গায় তামিম!

অবশেষে অনেক প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংগঠনের সভাপতি হিসেবে গত ১৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। রহস্যজনক কারণে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোয়াবের নির্বাচন হয়নি। এবার কোয়াবের অ্যাডহক কমিটির আায়ক সেলিম শাহেদ ঘোষণা দিলেন নির্বাচন হবে। তবে থাকছে না সাধারণ সম্পাদক পদ। একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি এবং আটজন কার্যনির্বাহী সদস্য থাকবেন। এ নির্বাচন সামনে রেখে এখন আলোচনা এসেছে তামিম ইকবালের নাম। সভাপতি হিসেবে তামিম নির্বাচন করতে পারেন বলেই ক্রিকেটাঙ্গনে জোর আলোচনা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে তামিম নিজে কিংবা তার সতীর্থ ও সংগঠনের কেউই সুনিশ্চিত করে কিছু বলেননি। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আপনাদের এখন নির্দিষ্ট করে কোনো নাম বলতে পারব না। আমাদের মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে। আমাদের ক্রিকেটারদের স্বার্থে যে কাজ করবে তাকেই আমরা নেতা হিসেবে মনোনয়ন দেব। দেখেন অনেকে ব্যক্তিস্বার্থে, অনেকে সবাইকে নিয়ে কাজ করে। লিডার এমন হওয়া উচিত, যে সবাইকে নিয়ে কাজ করবে। এই রকম ব্যক্তি আমরা খুঁজছি।’

সংগঠনের কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া কোয়াবের আগের কমিটি বিলুপ্ত করে ১৩ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের মূল দায়িত্ব গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং নির্বাচন আয়োজন করা। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক সেলিম শায়েদ জানান, ‘সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখে ইনশাআল্লাহ ইলেকশনের ডেট ফাইনাল করেছি এবং ৪ তারিখের মধ্যে আমাদের বাকি যে সমস্ত ইলেকশন রিলেটেড কাজ সেগুলো কমপ্লিট করার চেষ্টা করব। অর্থাৎ মেম্বারশিপ, প্লাস নমিনেশন ফর্ম কেনা, নমিনেশন ফর্ম জমা দেওয়া, এই সমস্ত জিনিসপত্র আমরা কমপ্লিট করার চেষ্টা করবো এবং ৪ তারিখে, অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর আমরা ইলেকশনের জন্য প্রসিড করব।’ অ্যাডহক কমিটি ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনও গঠন করেছে। ইলেকশন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে রাখা হয়েছে ইফতেখার রহমান মিঠুকে। তার সঙ্গে দুই সদস্য হিসেবে আছেন নাসির আহমেদ নাসু ও হাবিবুল বাশার সুমন। এত দিন কোয়াবের কোনো স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোয়াব মিরপুর স্টেডিয়ামে স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছে।

কোয়াবের সদস্য হওয়ার জন্য নতুন করে ক্যাটাগরি নির্ধারণ করেছে অ্যাডহক কমিটি। প্রথমে রাখা হয়েছে আজীবন সদস্যপদ ক্যাটাগরি। যেখানে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়রা ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই পদ নিতে পারবেন। আর জাতীয় দলের বাইরের খেলোয়াড়দের গুনতে হবে ১ লাখ টাকা। এই ক্যাটাগরিতে যারা থাকবেন, তাদের বাৎসরিক ফি দেওয়া লাগবে না এবং পূর্ণ ভোটের অধিকার দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত স্থায়ী সদস্যপদ। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ অথবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলেছেন এমন ক্রিকেটাররা ৫ হাজার টাকা দিয়ে এই পদ নিতে পারবেন। এই ক্যাটাগরির সদস্যদের বাৎসরিক ফি দেওয়া লাগবে। এর বাইরে রয়েছে সহযোগী সদস্যপদ। এই ক্যাটাগরির জন্য ২ হাজার টাকা ফি ও বাৎসরিক ফি ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই সদস্যরা ভোটের অধিকার পাবেন না।