দেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচন হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। অ্যাডহক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোয়াবের গত কয়েকটি সভায় নারী ক্রিকেটাররা ছিলেন না। সংগঠনে নারী প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ‘লিঙ্গবৈষম্যের’ অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকশ করেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও রুমানা আহমেদ। অবশেষে কোয়াবের সভায় নারী ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি দেখা গেল।
সর্বশেষ সভায় রুমানা ও সাবেক ক্রিকেটার জেসিয়া ইসলাম জেসিসহ ৬০-৭০ ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন। গত সভাগুলো বিসিবি কার্যালয়ে হলেও সর্বশেষ সভা ডিওএইচএস এলাকার একটি কফি শপে হয়েছে। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে সেখানে ৬০-৭০ জন ক্রিকেটারের অংশগ্রহণে কোয়াবের আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে হয়েছে এই সভা। বৈঠকে মূল আলোচনা ছিল কীভাবে নারী ক্রিকেটারদের ভূমিকা বাড়ানো যায়। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
কোয়াবের পরিচালনা কমিটিতে নারীবিষয়ক একটি পদে নারী ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ২১ আগস্টের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। ২৩ থেকে ২৬ আগস্ট ভোটার তালিকার বৈধ প্রার্থীরা কোয়াব নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে সমালোচনা। কারণ, নতুন নিয়ম অনুযায়ী এবার ভোটাধিকার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সীমিত করা হয়েছে নির্দিষ্ট শ্রেণির ক্রিকেটারদের মধ্যে।
নতুন নিয়মে শুধু বর্তমান ও সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবং বর্তমান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররাই ভোট দিতে পারবেন। এর ফলে প্রথম শ্রেণির সাবেক ক্রিকেটার, সাবেক ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও প্রথম-দ্বিতীয় বিভাগে খেলা ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার নেই। স্বাভাবিকভাবেই তারা প্রার্থীও হতে পারবেন না। তবে জাতীয় দলের বর্তমান বা সাবেক ক্রিকেটাররা সদস্য হয়ে প্রার্থী হতে পারবেন এবং নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন