রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৬:৩৩ এএম

কিংবদন্তি ক্রিকেটার সিম্পসন আর নেই

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৬:৩৩ এএম

কিংবদন্তি ক্রিকেটার  সিম্পসন আর নেই

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও প্রথম পূর্ণ মেয়াদের কোচ বব সিম্পসন আর নেই। ৮৯ বছর বয়সে সিডনিতে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক প্রভাব রেখেছেন সিম্পসন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬২টি টেস্ট খেলেন, যেখানে ৪৬.৮১ গড়ে করেন ৪ হাজার ৮৬৯ রান। ৭১টি উইকেটও শিকার করেন। তা ছাড়া ছিলেন একজন দুর্দান্ত স্লিপ ফিল্ডারও। তার নামের পাশে রয়েছে ১১০টি ক্যাচের রেকর্ড। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিনও করতেন সিম্পসন।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার রান ছিল ২১,০২৯ এবং উইকেট ৩৪৯টি। ১৯৬৮ সালে সিম্পসন প্রথম অবসর নেওয়ার আগে ১১ বছরে ৫০টি টেস্ট খেলেন, যার মধ্যে ২৯টি ম্যাচেই তিনি অধিনায়ক ছিলেন। তবে সিম্পসন অবসরের পর ১৯৭৭ সালে ৪১ বছর বয়সে পুনরায় টেস্ট দলে ফেরেন। একজন খেলোয়াড় হিসেবে দারুণ সাফল্যের পর কোচ হিসেবেও সিম্পসন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৮৬ সালে কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডারের সঙ্গে মিলে নতুন একটি সংস্কৃতি তৈরি করেন তিনি।

তার কোচিংয়ে ডেভিড বুন, ডিন জোন্স, স্টিভ ওয়াহ, ক্রেইগ ম্যাকডারমট, মার্ভ হিউজদের মতো খেলোয়াড়েরা উঠে আসেন। সিম্পসনের সময়েই শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার সোনালি যুগ। ১৯৮৭ সালে কোচ হিসেবে তার অধীনেই অস্ট্রেলিয়া প্রথম বিশ্বকাপ জেতে এবং পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে অ্যাশেজ ফিরে পায়। এ ছাড়া তার কোচিংয়েই ১৯৯৫ সালে টেস্টে বিশ্বে এক নম্বর দল হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিংসহ অনেক তারকাই বলেছেন, সিম্পসনের অনেক বড় প্রভাব ছিল তাদের ক্যারিয়ারে।

তার কর্মজীবন ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে শেষ হয়। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট, ভারতের রঞ্জি ট্রফিতে রাজস্থান দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন, এমনকি নেদারল্যান্ডসের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন। তার হাত ধরেই নেদারল্যান্ডস ২০০৭ বিশ্বকাপে অংশ নেয়। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের পরামর্শক ছিলেন সিম্পসন।

সিম্পসন ১৯৭৮ সালে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়ার সদস্যপদ পান এবং ২০০৭ সালে সেটি উন্নীত হয়ে অফিসার অব দ্য অর্ডারে পরিণত হয়। ১৯৬৫ সালে তিনি উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন এবং আইসিসি ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমে স্থান পেয়েছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!