এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজ সামনে রেখে একসঙ্গে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রায় তিন বছর পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান। এই উইকেটরক্ষক ও ব্যাটারের সঙ্গে দলে ফিরেছেন সাইফ হাসানও। টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা এ দুই ক্রিকেটারের সামনে নিজেদের মেলে ধরার সেরা সুযোগ। ৩০ আগস্ট থেকে সিলেটে শুরু হবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর এশিয়া কাপ রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। নেদারল্যান্ডস সিরিজে ভালো কিছু করে দেখাতে পারলে সোহান ও সাইফের জন্য এশিয়া কাপেও একাদশে জায়গা পাওয়াটা সহজ হবে। তাই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টায় থাকবেন এ দুই ক্রিকেটার।
সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে খেলেছিলেন সোহান। এরপর আর লাল-সবুজের জার্সি গায়ে দেখা যায়নি। সম্প্রতি জাতীয় দলের বাইরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেও নির্বাচকদের মন জয় করতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নিলেন এই উইকেটরক্ষক ও ব্যাটার। অন্যদিকে, ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে টি-টোয়েন্টি দলে অভিষেক হওয়ার পর সাইফ এ পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে পাঁচটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে শেষবার বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সোহান ও সাইফÑ দুজনেই অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলছেন। সোহান পাঁচ ম্যাচে ১১৭.২০ স্ট্রাইক রেটে ১০৯ রান করেছেন। একটি হাফ সেঞ্চুরিতে ১৩০ স্ট্রাইক রেটে ১৩০ রান করেছেন সাইফ।
জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সোহান। তিনি জানান, ‘সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’ সামনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজে যে নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেবেন সোহান, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অপরদিকে, টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে অলরাউন্ডার সাইফ হাসান বলেন, ‘অনেক দিন পরে জাতীয় দলে আবার সুযোগ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। সবই আল্লাহর ইচ্ছা, ইনশাআল্লাহ সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। কষ্ট করেছি দেখেই সুযোগ পেয়েছি। আরও যদি কষ্ট করি এবং প্রসেস ধরে রাখতে পারি, তাহলে আরও ভালো করতে পারব।’ দলে জায়গা পাওয়ায় চ্যালেঞ্জ বাড়ল কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি না, আমি উপভোগ করতে চাইছি। আগে অনেক চাপ নিয়ে নিতাম। যদি উপভোগ করতে না পারি, তাহলে আমি আমার সেরাটা দিতে পারব না।
তাই আগে খেলাটা উপভোগ করতে হবে, তাহলে নিজের সেরাটা দিতে পারব। এশিয়া কাপ অবশ্যই বড় একটা ইভেন্ট। আমার মনে হয়, আমাদের দলও অনেক ব্যালেন্সড, অনেক ভালো করছে। দলের পরিবেশ ভালো, সবাই যদি সবার সেরাটা দিতে পারে, অবশ্যই ভালো কিছু করা সম্ভব।’ একাদশে সুযোগ পেলে কী লক্ষ্য থাকবে আপনার? সাইফ বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে ফিল্ডিং, বোলিং বা ব্যাটিংÑ সব বিভাগে অবদান রাখতে চাই। দলের জন্য ইমপ্যাক্ট রাখতে চাই, অবদান রাখতে চাই। দলের মধ্যে যেন আমার ভালো একটা অবদান থাকে, এটাই আসলে চাওয়া।’
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল:
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। স্ট্যান্ডবাই (এশিয়া কাপের জন্য): সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন