ঢাকা বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফুটবল বিশ্বকাপে নজর কাড়বেন যারা

মাঠে ময়দানে ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ০৫:৪০ এএম

২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ড্র হয়েছে। আগামী বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে হবে এই বৈশি^ক আসর। আর এই মহাযজ্ঞে নজর থাকবে পুরো বিশে^র ফুটবলপ্রেমীদের। এর মধ্যে বিশেষ নজর থাকবে এমন কিছু খেলোয়াড়দের দিকে। যারা এরই মধ্যে চিনিয়েছেন নিজের জাত। ৪৮ দলের ১২টি গ্রুপ থেকে এমন ২৪ জনের নাম তুলে এনেছে ফক্স স্পোর্ট। বিশ^কাপে যারা আলো কাড়তে পারেন, তাদের পারফরম্যান্স ও শক্তির জায়গা তুলে ধরা হলোÑ

মেক্সিকো : স্ট্রাইকার রাউল হিমেনেজ

১২১ ম্যাচে ৩৪ গোল করা হিমেনেজই দুর্বল ফর্মে থাকা মেক্সিকোর প্রধান ভরসা। ৩৪ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ডের কাছ থেকে দাপুটে পারফরম্যান্স চায় স্বাগতিকরা। 

দক্ষিণ কোরিয়া : উইঙ্গার সন হিউং-মিন

টটেনহ্যামের কিংবদন্তি সন এখন এলএএফসিতে যোগ দিয়ে ১৩ ম্যাচে ১২ গোল ও তিন অ্যাসিস্ট করেছেন। দেশের জার্সিতে তার গোল ৫৪টি, ক্যাপ ১৫৪। কোরিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা তিনিই।

কানাডা : লেফট ব্যাক আলফানসো ডেভিস

চোট কাটিয়ে ফেরার অপেক্ষায় বায়ার্ন তারকা ডেভিস। ফিট থাকলে বিশ্বের দ্রুততম ও সেরা লেফট ব্যাকদের একজন তিনি।

সুইজারল্যান্ড : মিডফিল্ডার গ্রানিত জাকা

১৪৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জাকা বর্তমানে সান্ডারল্যান্ডে দারুণ ফর্মে। চতুর্থ বিশ্বকাপে সুইসদের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ এই তারকা।

ব্রাজিল : উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র

রিয়াল মাদ্রিদের ‘ভিনি’ এখন ব্রাজিল দলের সবচেয়ে বড় নাম। ক্লাবে সাফল্য পেলেও দেশকে বড় কিছু এনে দেওয়াই তার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ।

মরক্কো : রাইট ব্যাক আশরাফ হাকিমি

চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পিএসজি তারকা হাকিমি বিশ্বের সেরা আক্রমণাত্মক রাইট ব্যাক। ডান প্রান্তে তার গতি মরক্কোকে টুর্নামেন্টে বিপজ্জনক করে তুলবে।

যুক্তরাষ্ট্র : উইঙ্গার ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ

‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ এখন এসি মিলানে দুর্দান্ত ফর্মে। ৮২ ম্যাচে ৩২ গোল করা পুলিসিচ ফর্মে থাকলে যুক্তরাষ্ট্র বড় কিছু করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া : মিডফিল্ডার জ্যাকসন আরভাইন

‘এ’ লিগ ও স্কটিশ প্রিমিয়ার লিগে একাধিকবার সিজনের সেরা দলে জায়গা পাওয়া আরভাইন জাতীয় দলে ৭৯টি ম্যাচ খেলেছেন এবং কোয়ালিফায়ারে নিয়মিত গোল করেছেন।

জার্মানি : মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা

চোটের কারণে না খেললেও বায়ার্নের তরুণ তারকা ফিট থাকলে জার্মানির আক্রমণ তাকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয়।

ইকুয়েডর : মিডফিল্ডার মোইসেস কাইসেদো

চেলসির এ মিডফিল্ডার এখন প্রিমিয়ার লিগের সেরাদের একজন। ইকুয়েডরের ডিফেন্সেও রয়েছে তারকা জুটি হিন কাপিয়ে-উইলিয়ান পাচো।

নেদারল্যান্ডস : সেন্টার ব্যাক ভার্জিল ভ্যান ডাইক

আক্রমণে তারকা কম থাকলেও ডিফেন্সে ভ্যান ডাইকই ডাচদের নেতা। লিভারপুলের হয়ে আবারও নিজেকে বিশ্বসেরা প্রমাণ করতে চান তিনি।

জাপান : উইঙ্গার তাকেফুসা কুবো

রিয়াল সোসিয়েদাদের হয়ে দারুণ মৌসুম কাটানো কুবো জাপানের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ।

বেলজিয়াম : গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া

ডি ব্রুইনে-লুকাকুর যুগ ফুরালেও কোর্তোয়া এখনো বিশ্বের সেরা গোলকিপারদের একজন। বেলজিয়ামের ভরসা তিনিই।

ইরান : স্ট্রাইকার মেহেদি তারেমি

১০৩ ম্যাচে ৫৬ গোল করা তারেমি ইরানের মূল গোলমেশিন। ইন্টার মিলানে খারাপ মৌসুম কাটালেও এখন অলিম্পিয়াকোসে ফিরেছেন ফর্মে।

স্পেন : উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল

মাত্র ১৮ বছর বয়সে বার্সার হয়ে ১০০ ম্যাচ ও ইউরোজয়ী স্পেন দলের সদস্য ইয়ামাল এখন বিশ্ব ফুটবলের পরবর্তী সুপারস্টার।

উরুগুয়ে : মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভার্দে

আগে উরুগুয়ে নির্ভর করত সুয়ারেজ-কাভানির ওপর। এখন পুরো দলের খেলার কেন্দ্রে থাকেন রিয়াল মাদ্রিদের অদম্য মিডফিল্ডার ভালভার্দে।

ফ্রান্স : স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে

২৬ বছরেই ৪০০ গোল পার! ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী, ২০২২ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা এমবাপ্পে এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আগুনে ফর্মে।

নরওয়ে : স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড

বিশ্বের সেরা গোলস্কোরার। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাত্র ৪৮ ম্যাচে ৫৫ গোল। ওডেগার্ড-সোরলথকে সঙ্গে নিয়ে মারাত্মক আক্রমণ গড়তে পারেন তিনি।

আর্জেন্টিনা : ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি

খেলবেন কি না নিশ্চিত না হলেও মেসি থাকলে দায়িত্ব তিনিই নেবেন। না খেললে তার জায়গায় মূল ভরসা হবেন অ্যাথলেতিকো মাদ্রিদের হুলিয়ান আলভারেজ।

অস্ট্রিয়া: সেন্টার ব্যাক ডেভিড আলাবা

১১১ ম্যাচ খেলা আলাবাই অস্ট্রিয়ার নেতা। পাশাপাশি আরনাউতোভিচ ও বুন্দেসলিগার কিছু মিডফিল্ডারও নজর কাড়তে পারেন।

পর্তুগাল: মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া

পিএসজির মিডফিল্ড ইঞ্জিন ভিতিনিয়া এখন পর্তুগাল দলের মূল কা-ারি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো থাকলেও পর্তুগালের খেলা অনেকটাই নির্ভর করে তার ওপর।

কলম্বিয়া : মিডফিল্ডার হামেস রদ্রিগেজ

২০১৪ বিশ্বকাপের নায়ক হামেস এখন ৩৪ বছর বয়সে মেক্সিকোর ক্লাব লিওনে খেলছেন। ক্লাব পর্যায়ে উত্থান-পতন থাকলেও জাতীয় দলে এখনো কলম্বিয়ার ভরসা তিনি।

ইংল্যান্ড : স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন

ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বায়ার্নে যোগ দিয়ে ৭৫ ম্যাচে ৭৬ গোল করেছেন। বেলিংহামকেও বিবেচনা করা যেত, তবে অধিনায়ক হওয়ায় প্রথম পছন্দ কেইন।

ক্রোয়েশিয়া : মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ

৪০ বছর হলেও এসি মিলানে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। ক্রোয়েশিয়ার তারকা শক্তি কমলেও মদ্রিচের এক ঝলক জাদুই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।