ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের ৩ বারের ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের নামাজে জানাজা এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বাদ জোহর রুহিয়া ছালেহীয়া দারুচ্ছুন্নাত ফাজিল মাদরাসা মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজার নামাজে লাখো মুসল্লীর ঢল নামে। ছালেহীয়া মাদরসা মাঠ, সংলগ্ন লিচু বাগান,এবং পাকা রাস্তার উভয় ধারে হাজার হাজার মানুষ জানাজার নামাজে শরীক হয়।এ সময় মরহুমের সংগ্রামী জীবনের উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, পয়গাম আলী,আনসারুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, আটোয়ারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুলতানুল ফেরদৌস নম্র,পীরগন্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার প্রমুখ।
এছাড়াও মরহুমের ছেলে রিপন, রবিউল ইসলাম, জামাতা আলিম উদ্দীন ও জুলফিকার আলী প্রমুখ। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন সালন্দর মাদরাসার অধ্যক্ষ তোহা।
এটি ছিল তার ২য় নামাজে জানাজা। মরহুমের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ১০ টায় ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে। ছালেহীয়া মাদরাসা মাঠে জানাজার নামাজের পূর্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন। এ সময় রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গুলফামুল ইসলাম মন্ডল, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুবোধ চন্দ্র বর্মন সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। গার্ড অব অনার প্রদানের পূর্বে উপজেলা প্রশাসন এবং রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পন করেন রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বাবু,বদরুল ইসলাম বিপ্লব,মকবুল হোসেন এবং গনেশ চন্দ্র সেন। মরহুমের লাশ সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকালে নেওয়া হয় ঠাকুরগাঁও শহরের জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে। দুপুরে তার লাশ রাখা হয় ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এবং সেখান থেকে রুহিয়া থানা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।
উল্লেখ্য,গত রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল  হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ২০১৪ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ২য় বার ১৯৯২ সালে এবং ৩য়বার  ১৯৯৭ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ছাত্রজীবনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে সিপিবির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৯০ দশকে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। ক্রমান্বয়ে তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও  সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 
                             
                                    
                                                                 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                    -20251031233315.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031164732.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন