সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ১১:১১ এএম

আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল

কঠোর নিরাপত্তায় কাজ করছে পোশাক শ্রমিকরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ১১:১১ এএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি আশুলিয়ায় বেতন ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১৮ দফা দাবি পূরণের যৌথ ঘোষণা পর শিল্প কারখানায় স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিলো তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েকটি কারখানায় মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের বনিবনা না হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা একজোট হয়ে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছে। বিক্ষুদ্ধ এসব শ্রমিকরা দলবেঁধে চালু থাকা কারখানায় গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা ও ভাঙচুর চালালে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, যৌথবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য বিশমাইল জিরাবো সড়কের উভয় পাশে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। লুসাকা গ্রুপের কারখানায় শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বেক নীট লিমিটেড ও তাম্মাম ডিজাইন লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পাশেই অবস্থিত এ্যাকটিভ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছে শ্রমিকরা। সকালে বন্ধ থাকা লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা দলবদ্ধ হয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে যৌথবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে জিরাবোর দিকে চলে যায়।

সুইং অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা গণমাধ্যমকে বলেন, দাবি আদায়ে আন্দোলন করায় মালিকপক্ষ আমাদের শ্রমিকদের নামে মামলা করে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিদিন আমরা কাজ করার জন্য কারখানার সামনে এসে ঘুরে যাই কিন্তু মালিক কিংবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমস্যা সমাধানে কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে উল্টো আমাদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

তাম্মাম ডিজাইন লিমিটেড কারখানার সুইং অপারেটর সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা কারখানায় কাজ করতেই আসি, কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের রুটি রুজির ব্যাবস্থা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অন্যান্য কারখানায় শ্রমিকরা ভাংচুর করলেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছি। আমাদের কারখানা খুলে দেয়া হোক আমরা কাজ করতে চাই। তিনি আরও বলেন এ্যাকটিভ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড এর সিকিউরিটি অফিসার অমর বিকাশ আমাদের কারখানায় কোন সমস্যা নাই। লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা এসে আমাদের কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করলে আমরা ছুটি দিতে বাধ্য হই।

রাইজিং গ্রুপের এ্যাকটিভ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড কারখানার এইচআর এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুজ্জামান গনমাধ্যমকে বলেন, সরকার এবং বিজিএমইএ এর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সকল দাবি মেনে নেয়ায় আমাদের শ্রমিকরা শান্তিপূর্নভাবে কাজ করছে। কিন্তু পাশের বন্ধ থাকা লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরাসহ বহিরাগত লোকজন এসে গেটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায়। তখন বাধ্য হয়েই কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কাঠগড়া এলাকার এ.আর জিন্স, জিহান গ্রুপ, ক্রস অয়ার, লুসাকা গ্রুপের বেক নীট লিমিটেড ও তাম্মাম ডিজাইন লিমিটেড কারখানা, মাসকট ও সাউদার্ন (কাঠগড়া) কারখানায় কাজ বন্ধ আছে।

অন্যদিকে আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকার বন্ধ থাকা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিক, কর্ককর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য তিন মাস সময় বর্ধিতকরনের নোটিশ দেওয়ায় সেখানকার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। একপর্যায়ে বিক্ষোদ্ধ শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সরিয়ে দেয়।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ ১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা শান্তিপূর্নভাবে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ১১ টি কারখানা বন্ধ আছে এবং ৭ টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শিল্প পুলিশ, এপিবিএনসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তিনি।

আরবি/জেআই

Link copied!