ইরানের সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসরায়েলের হামলা মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
সোমবার (১৬ জুন) ইরানের পার্লামেন্টে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে ইরান কূটনৈতিকভাবে সুযোগ দিয়েছে এবং আলোচনা ও সংলাপের পথ খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, শত্রুরা হত্যা ও সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ইরান ও তার জনগণকে ধ্বংস করতে পারবে না।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না। তবে ইরানের জনগণের উপকারে আসে এমন পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন ও গবেষণা করার অধিকার আমাদের রয়েছে।
এদিকে, বর্তমান ইরানি শাসনব্যবস্থার ওপর ‘জনসমর্থন নেই’। ইরানের ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারকে ‘উৎখাত’ করতে চায় বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কি ইসরায়েলের চলমান ‘প্রচেষ্টার’ (ইরানে হামলা) অংশ কি না? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি (ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন) অবশ্যই ফল হতে পারে, কারণ ইরানি শাসনব্যবস্থা খুবই দুর্বল।’
তিনি বলেন, ‘পারস্যবাসী এবং ইহুদি জনগণের মধ্যে একটি প্রাচীন বন্ধুত্ব ছিল। এই সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার, জেগে ওঠার সিদ্ধান্ত ইরানি জনগণের।’
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার সাম্প্রতিক ইসরায়েলি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প - সিবিএস নিউজের কাছে এমন দাবি করেছেন তিন মার্কিন কর্মকর্তা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, খামেনিকে হত্যা করার সুযোগ ছিল ইসরায়েলের। তবে ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়েছিলেন এটি ‘ভালো কোনো ধারণা’ নয়।
এর আগে, পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ‘শত শত বিভিন্ন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করেছে ইরান।
এক ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি ও অপরাপর মিলিশিয়ারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক ভয়ংকর পরিকল্পনার অংশ হতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ঘনিষ্ঠভাবেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল যে বিমান ও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাচ্ছে, তার বেশির ভাগই এসেছে মার্কিন উৎস থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :