বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কামরুজ্জামান লিটন, সরিষাবাড়ী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম

সেতু ভেঙে ৪ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ

কামরুজ্জামান লিটন, সরিষাবাড়ী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম

সেতু ভেঙে ৪ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

দীর্ঘ চার বছরেও জোড়া লাগেনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত সেতুটি। ২০২০ সালে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এরপর থেকেই ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ দুর্ভোগ লাঘবের দ্রুত সেতুটি পুননির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ২০০ মিটার দৈর্ঘের সেতুটি। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৬ সালে। নির্মাণের ১৪ বছরের মাথায় ২০২০ সালের ২১ জুলাই বন্যার পানির তোড়ে ব্রিজের মাঝখানের চারটি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ ৬০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

এতে উপজেলা সদরের সাথে কামরাবাদ ইউনিয়নের স্বাধীনাবাড়ি, সোনাকান্দ, বড়বাড়িয়া, বাঘমারা, শুয়াকৈর, ছাতারিয়া, আদ্রা, চুনিয়াপটল, রৌহা, নান্দিনা, ডিগ্রি পাছবাড়ি, সিধুলি ইউনিয়নের হাটবাড়ি, লোটাবর, রায়েরছড়াসহ ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর থেকেই চরম দুর্ভোগে নদী পারাপার হচ্ছেন সরিষাবাড়ী উপজেলার ও পার্শবর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। নদী পারাপারে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় বয়স্ক ও রোগীদের। এমনকি বর্ষা মৌসুমে নৌকায় পারাপার হতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনাও ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সেতুর দু’পাশ থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। এর ফলে পানির তোড়ে সেতুটি ভেঙে যায়। এতে করে সেখানে নতুন কোনও সেতু নির্মাণ না করায় নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। সেতুটি ছিল তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা।

স্থানীয় আমির উদ্দিন, সোহরাব হোসেন, আমিনা বেগম ও আলপনা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সেতুটি ভাঙার পর থেকেই আমাদের দুঃখের শেষ নেই। আমরা ঠিকমতো যাতায়াত করতে পারছিনা। আমাদের দুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়েও আসছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাহিদুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি মেরামত করলেও আর ঠিক হবে না। এ কারণে ব্রিজটির পাশ আরেকটি নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য পরিমান হিসাব করে একটা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নতুন করে সেতু নির্মাণ বরাদ্দ পেলেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!